পৃথিবী নাকি ধ্বংস হতে চলেছে! প্রলয়জলে ডুবে যাবে বিশ্ব-চরাচর। আর সে বার্তা নাকি নিজের মেরুদণ্ডের মাধ্যমেই টের পাচ্ছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি শুনে তো হতবাক নেটিজেনরা। কেন, এই কথা বলছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
তিনি নস্ত্রাদামুস নন। আগামী বহু শতকে কবে কী ঘটবে, তা যে গড়গড়িয়ে বলে যাচ্ছেন, এমনটাও নয়। তবে টের পাচ্ছেন, এই পৃথিবীর আয়ু আর বেশিদিন নয়। প্রলয় এসে তছনছ করে দেবে বিশ্বকে। কিন্তু এই সংকেত তিনি পাচ্ছেন কোথায়? কম্বোডিয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা ব্যক্তির উত্তর, তাঁর মেরুদণ্ডের ‘ব্ল্যাক হোল’ই তাঁকে এসব কথা জানান দিচ্ছে। তিনি অবশ্য যেমন-তেমন ব্যক্তি নন। পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। খেম ভিয়াসনা নামে এই ব্যক্তির দাবিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য সে-দেশে।
আরও শুনুন: মক্কায় আছেন স্বয়ং মক্কেশ্বর মহাদেব! পুরীর শঙ্করাচার্যের দাবিতে শুরু জোর চর্চা
সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তাতে জানান, পৃথিবী যে ধ্বংস হচ্ছে, সে বার্তা তিনি পেয়েছেন। আর পেয়েছেন তাঁর মেরুদণ্ডের মাধ্যমেই। নেটমাধ্যমে তিনি লেখেন, রাতে তিনি ঘুমোতে পারেন না। তাঁর শিরদাঁড়ায় প্রবল এক টান অনুভব করেন। মনে হয় যেন, পৃথিবী ভেঙে পড়েছে। আর মধ্যবর্তী শূন্যস্থান দিয়ে হু হু করে প্রবাহিত হচ্ছে জলরাশি। এটিই আসলে প্রলয়ের বার্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই পোস্ট দেখে অনুগামীদের মধ্যে চাঞ্চল্য পড়ে। তবে তাঁদের বাঁচার উপায়ও জানিয়ে দেন নেতা। বলেন, তাঁর ফার্মহাউসটি এই প্রলয় থেকে রক্ষা পাবে। এর আগে তিনি নিজেকে হিন্দু দেবতা ব্রহ্মার অবতার হিসাবেও ঘোষণা করেছিলেন।
আরও শুনুন: ঠিক যেন অর্ধেক বাঘ, অর্ধেক কুকুর! ফিরতে পারে বিলুপ্ত প্রাণী, দাবি বিজ্ঞানীদের
ভয়ে হোক কিংবা ভক্তিতে, শেষের সে দিন ঘনিয়ে এসেছে জেনে, দলে দলে মানুষ গিয়ে ফার্ম হাউসে ভিড় জমায়। উদ্বিগ্ন মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের সেখানে রেখে আসতে চান। এমনকী পর্যটকদের একাংশও প্রাণ বাঁচাতে সেই ফার্ম হাউসে আশ্রয় নেন। হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখে খুশি নেতা, সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন। এদিকে বিশৃঙ্খলার বহর দেখে শেষমেশ এমব্যাসিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
আদতে অবশ্য নেতার কথা অনুযায়ী পৃথিবী ধ্বংস হয়নি। এই ভবিষ্যদ্বাণীতে কার যে কী উপকার হল তার ঠিক নেই। তবে স্থানীয় রেস্তরাঁ মালিক আর ট্যাক্সিচালকরা বলছেন, এই ছুতোয় চুটিয়ে কিছুদিন ব্যবসা হয়েছে। সেটাই যা লাভজনক।