স্ত্রীর পায়ে ব্যথা। অথচ তাঁর বদলে স্বামীকেই ওষুধের নিদান দিলেন চিকিৎসক। আর প্রেসক্রিপশনে লেখা সেই ওষুধের বিবরণ দেখে দম্পতির চক্ষু চড়কগাছ! আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পার্বতীকে ভোলার জন্য দেবদাসের প্রচুর পরিমাণে মদ খাওয়াই বলুন, কিংবা ‘আশিকি’ সিনেমায় কাজের জগতের হতাশা ভুলতে নায়কের মদের দুনিয়ায় ডুব দেওয়া- সিনেজগতে এমন ঘটনা বারেবারেই দেখা গিয়েছে। মদই নাকি সব অসুখের উপশম, মদ্যপ্রেমী মানুষেরা এমন কথা বলেই থাকেন। কিন্তু খোদ চিকিৎসকই যদি এ কথা বলে বসেন, তবে কেমন হয়? শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক, সম্প্রতি তেমনটাই ঘটেছে এক দম্পতির অভিজ্ঞতায়। পায়ের ব্যথার জন্য ডাক্তার দেখাতে গিয়ে প্রেসক্রিপশনে এহেন উপদেশই পেয়েছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: কন্ডোম, লিপস্টিক বা চকোলেট, সবই নাকি আমিষ! জানেন কি?
কী ঘটেছে আসলে? তবে খুলেই বলা যাক।
কেরলের ত্রিশূর রাজ্যের দয়া হাসপাতালে সম্প্রতি ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালেই এক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনিল কুমার এবং প্রিয়া। ৪৪ বছর বয়সি ওই মহিলার পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেই কারণেই ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের ডঃ রয় ভার্গিসের কাছে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। মহিলাকে পায়ের এক্স-রে করিয়ে আনার কথা বলেছিলেন ওই চিকিৎসক। তবে সেই রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে তিনি ওই দম্পতিকে অন্য কোনও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সময়ে তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন, অন্তত সাময়িক ভাবে ব্যথা কমানোর জন্য কোনও ওষুধ যদি চিকিৎসক লিখে দেন। তাঁদের অনুরোধে রাজিও হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশন হাতে আসতেই দম্পতির চক্ষু ছানাবড়া যাকে বলে! দেখা যায়, প্রেসক্রিপশনে ওই চিকিৎসক লিখেছেন, কোনোরকম বেডরেস্টের দরকার নেই। যদি কোনও সমস্যা হয়, তবে ওই ব্যক্তি পানশালায় যেতে পারেন।
আরও শুনুন: মন্দির মেরামতের জন্য ১১ লক্ষ টাকা অনুদান মুসলিমদের, সম্প্রীতির অভিনব নজির গড়ল গুজরাটের গ্রাম
একে তো যাঁর অসুস্থতা, তাঁর জন্য কোনওরকম ওষুধের বন্দোবস্ত নেই। তার উপরে আবার এমন অবাঞ্ছিত উপদেশ! সব দেখেশুনে রীতিমতো চটে যান ওই দম্পতি। ওই চিকিৎসকের নামে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনিল কুমার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই খবর। কিন্তু এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ওই চিকিৎসককে আপাতত সাসপেন্ড করেছে কেরলের ওই হাসপাতাল।