‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর পর ‘ওয়ার্ক ফ্রম পাব’। অর্থাৎ পানশালায় বসেই করা যাবে অফিসের কাজ। কর্মীদের সুবিধার কথা ভেবে এমনই পদক্ষেপ করতে আগ্রহী একাধিক সংস্থা। কোন পথে হাঁটতে চলেছে এই সংস্থাগুলি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বাড়ি কিংবা অফিসের বদলে পাব, অর্থাৎ পানশালায় বসে কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই সম্প্রতি এহেন সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছে একাধিক সংস্থা। যাতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের একঘেয়েমিও কাটে, আবার অফিসের নিয়মিত ধরাবাঁধা রুটিনেও ফিরে যেতে না হয়, এমনটা ভেবেই দুয়ের মাঝামাঝি পথে হাঁটছে সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণে চাকরিজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে ব্রিটেনের একাধিক পানশালা।
আরও শুনুন: পরনে কেবল সাপের মতো পরচুলা আর হাই হিল, পাশের আনন্দে নগ্ন ফটোশ্যুট ছাত্রীর
কোনও ব্যক্তি যাতে নির্বিঘ্নে পাবে বসে অফিসের কাজ করতে পারেন, সেইজন্য নানারকম প্যাকেজও চালু করে দিয়েছে ওই পানশালাগুলি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সারা দিন পানশালাতে বসে কাজ করার জন্য বারেবারে খাবার অর্ডার করার দরকার নেই। বরং এককালীন টাকা দিলেই একদিনের জন্য নিশ্চিন্ত। যার পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এই প্যাকেজে থাকছে সারা দিন যত খুশি ওয়াইফাই ব্যবহার করার মতো সুবিধা। কোনও কোনও পানশালায় দেওয়া হচ্ছে স্যান্ডউইচ ও কফিও।
আরও শুনুন: মহিলার চোখের ভেতর জমেছিল ‘লেন্সের পাহাড়’, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে হতবাক চিকিৎসক
মারণ ভাইরাসের আকস্মিক ধাক্কায় অনেকখানিই বদলে গিয়েছে আমাদের এতদিনের চেনা কাজের জগৎ। লকডাউন নামের অচেনা শব্দটি বুঝিয়ে দিয়েছে, কাজ বন্ধ হওয়ার থেকে চলাটাই বেশি জরুরি, তা সে যেভাবেই হোক না কেন! দুবছরের মহামারির জেরে অনেক সংস্থাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর মাধ্যমে কাজ চালাতে বাধ্য হয়েছিল। ক্রমশ অবস্থা পালটেছে, তবে কর্মীদের সুবিধার কথা ভেবে অনলাইন কাজের অভ্যাস জারি রেখেছিল তাদের অনেকেই। কিন্তু একটানা বাড়ি বসে কাজ করার মধ্যেও তো একটা একঘেয়েমি রয়েছে। উপরন্তু বাড়িতে বসে কাজ করার সময়ে বাড়ির কিছু কিছু কাজের দায়িত্বও এসে পড়ে। এই কারণে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অভ্যাসে বদল আনার কথা বলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু দীর্ঘদিনের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অভ্যাসের পর অফিসের নিয়মবাঁধা জীবনে ফিরতেও অসুবিধে হবে বলেই মনে করছিলেন তাঁরা। তাই কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করেই এবার ছকভাঙা পথে হাঁটতে চলেছে একাধিক সংস্থা। নিয়মের কড়াকড়ির বদলে কর্মীদের খুশিমনে কাজ করতে দিলেই যে শেষমেশ ভাল ফল পাওয়া যায়, সে বিষয়ে একমত ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষরা।