পরীক্ষায় পাশ করলে কে না খুশি হয়! তবে ডিগ্রি পাওয়ার আনন্দে যে কেউ পুরোপুরি নগ্ন হয়ে বসবেন, এমনটা ভাবতে পারেনি খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। কিন্তু ফ্লোরিডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অদ্ভুত কাণ্ডই ঘটিয়েছেন এক ছাত্রী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
খোলা শরীর। মাথায় সাপের মতো পরচুলা। পায়ে সোনালি রঙের হাই হিল। কৃষ্ণা ত্বক জুড়ে যৌন আবেদন ছড়িয়ে এভাবেই একের পর এক ছবি তুলেছেন তরুণী। কিন্তু এহেন নগ্ন ফটোশ্যুটের জন্য যে জায়গাটিকে তিনি বেছে নিয়েছেন, তা তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপত্যের সামনে নগ্ন হয়ে ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। আর সেইসব ছবির জেরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও শুনুন: শারীরিক পরীক্ষার ছুতোয় ১৩ বছরের কিশোরীর জরায়ুতে গর্ভনিরোধক স্থাপন, ভুক্তভোগী আরও অনেকেই
কী ঘটেছে ঠিক?
আসলে বিদেশে কলেজে যাওয়া বিষয়টি সবার কাছে মোটেই জলভাত নয়। সেখানে ২৪ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি হাসিল করে ফেলেছেন এই তরুণী, ফ্লোরিডার এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী টেরিকা উইলিয়ামস। সম্প্রতি ‘এডুকেশন’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন ২৪ বছরের এই তরুণী। ডিগ্রি পাওয়ার আনন্দও তাই বাঁধনছাড়া। আর সেই আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়েই নিজের শরীরকে সবরকম পোশাকের বাঁধন থেকেও মুক্তি দিলেন তরুণী। আর সেই ডিগ্রি পাওয়ার ঘটনাকে উদযাপন করতেই নগ্ন ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। তাও কিনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই। তবে এ কাজের জন্য কোনোরকম দ্বিধা নেই ওই তরুণীর। তাঁর মতে, সমাজ যা-ই বলুক না কেন, সকলেরই নিজের দেহ নিয়ে খুশি হওয়া উচিত। আর নিজের শরীরকে কে কেমনভাবে উপস্থাপিত করবেন, সে সিদ্ধান্তও একান্ত তাঁরই। নেটমাধ্যমে ওই তরুণী লিখেছেন, ২৪ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করাটাই তাঁর পরিচয়। কোনও পোশাক তাঁর আসল পরিচয় নয়।
আরও শুনুন: যৌনাঙ্গে ক্ষতির আশঙ্কায় মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ থিম পার্কে, আর কোথায় কোথায় রয়েছে এহেন নিষেধাজ্ঞা?
এদিকে টেরিকার নগ্ন ছবি নিয়ে কার্যত হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। কারও বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছবি তুলতে হলে তা ডিগ্রির কাগজ হাতে নিয়েই তোলা যেতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নগ্ন হয়ে ছবি তুলে ওই নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি করেছেন তিনি, এমন মতও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। কেউ আবার দাবি তুলেছেন তরুণীর ডিগ্রি কেড়ে নেওয়ার। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। পাশপাশি আবার তরুণীর ছবিতে পছন্দের চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ। তবে ভালমন্দ যাই সমালোচনা হোক না কেন, ওই তরুণী নিজের অবস্থানেই অনড়। ডিগ্রি পাওয়ার পরেও যে তাঁর পোশাক অথবা পোশাকহীনতা নিয়েই সকলের মাথাব্যথা, এই ঘটনা তাঁর মতকেই প্রতিষ্ঠা করছে, এমনটাই বলছেন টেরিকা উইলিয়ামস।