করোনা মহামারীর বিষয়ে যিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, গুজরাট সফরে গিয়ে সেই ধর্মগুরুর সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার নতুন করে আশঙ্কার বাণী শোনালেন মোহান্ত করশনদাস বাপু। কী বললেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
অচেনা ভাইরাসের আক্রমণে যে দেশে বড়সড় ধাক্কা লাগতে চলেছে, তার আগাম আশঙ্কা করেছিলেন ত্রিকালজ্ঞ মোহান্ত বলে খ্যাত করশনদাস বাপু। ২০২০ সালে দেশে যে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটে, তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালেই তিনি এই আতঙ্কের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি এই মারণ ভাইরাসের আক্রমণে কোটি লোকের প্রাণ যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এবার গুজরাট সফরে গিয়ে এই ধর্মগুরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের সূত্রে ফের নয়া আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন করশনদাস বাপু।
আরও শুনুন: ধর্ম সংসদে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলার জের, ঘৃণাভাষণে দাঁড়ি টানতে পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
দলীয় প্রচারে গতি বাড়াতে তিন দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন মোদি। এই সফরে ১৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই সফরেরই তৃতীয় তথা শেষ দিনে জনসভা সেরে মোহান্ত করশনদাস বাপুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়। তাঁর আশীর্বাদও নিয়েছেন মোদি। আর এই সময়েই ফের নতুন করে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ওই ধর্মগুরু, যা সত্যি হলে ফের ধাক্কা খেতে পারে দেশের উন্নয়নের গতি।
আরও শুনুন: গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণার আরজি, ভর্ৎসনা করে মামলা নাকচ সুপ্রিম কোর্টের
জানা গিয়েছে, মোহান্ত করশনদাস বাপু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৩-২৪ সালে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। প্রবল খাদ্যাভাব নেমে আসবে দেশে। খাবারের অভাবে মৃত্যু হবে অসংখ্য মানুষের। নিজেকে ত্রিকালদর্শী বলে ঘোষণা করা ওই ধর্মগুরু জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎদৃষ্টিতে এমনটাই দেখতে পাচ্ছেন তিনি। তবে এই দুর্বিপাক থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাঁর মতে, শুধু বাজরা আর জল খেয়ে দীর্ঘদিন খিদে মেটাতে পারে মানুষ। তাই দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে জোয়ার-বাজরা চাষের উপর জোর দিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণীর পর ওই ধর্মগুরুর এহেন সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, এমনটাই বলছেন তাঁর ভক্তরা।