রাশিচক্রে থাকা প্রতিটি রাশির জাতক জাতিকার নিজস্ব দোষ ও গুণ থাকে। যার উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয় সেই রাশির অধিপতি গ্রহ ও দেবতা হিসেবে কার অবস্থান হবে। সেই ভিত্তিতেই দেখা যায় কয়েকটি রাশি স্বয়ং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদধন্য। কোন কোন রাশির জাতকরা এই সৌভাগ্যের অধিকারী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, যে কোনও কাজে সাফল্য পেতে চাই ৯৭ শতাংশ পরিশ্রম, আর ৩ শতাংশ ভাগ্য। তাই আর্থিক সফলতার জন্য মানুষ দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেন। তবু কিছুক্ষেত্রে ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন না হলে লক্ষ্মীলাভ অধরাই থেকে যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র তাঁদের এই অবস্থার জন্য ভাগ্যচক্রে লক্ষ্মীদেবীর অনুপস্থিতিকেই দায়ী করে। কিন্তু রাশিগত ভাবে যাঁরা ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদধন্য, তাঁরা সঠিক পরিশ্রম করলে অবশ্যই সাফল্য পেতে পারেন। কারা রয়েছেন সেই তালিকায়?
প্রথমেই বলতে হয় বৃষ রাশির কথা। টরাস বা বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত পরিশ্রমী হন। সততা এবং কাজের উদ্যমেও কোনও খামতি দেখা যায় না তাঁদের ক্ষেত্রে। জ্যোতিষমতে শুক্র এই রাশির অধিপতি। তাই এই রাশির জাতকদের ওপর লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সর্বাধিক। শুক্রের প্রভাবে এঁদের জীবনে ঐশ্বর্য, ধন, প্রেম ও বৈভবের কোনও অভাব হয় না। ফলে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্য আটকায় কে! স্করপিও অর্থাৎ বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। গ্রহের সেনাপতি মঙ্গল এই রাশির অধিপতি। মঙ্গলের প্রভাবে ব্যক্তির মধ্যে সাহস ও শক্তি সঞ্চারিত হয়। ফলত এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপারে প্যাশন চোখে পড়ার মতো। তাঁরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন, কোন কাজ তাঁদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। আর কে না জানে, কাজ মনের মতো হলে, সে কাজে সাফল্য আসতে বাধ্য। ফলত অর্থাগম নিয়ে এঁদেরও বিশেষ চিন্তিত হতে হয় না। কঠোর পরিশ্রমে কম যান না লিও বা সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারাও। জ্যোতিষ মতে গ্রহাধিপতি সূর্য এই রাশির অধিপতি। সূর্যের মতোই তেজোদীপ্ত ভাবে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন তাঁরা। তা ছাড়া মানুষের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারেও এঁরা বেশ সাবলীল। এই খোলামেলা চরিত্রের কারণেই লক্ষ্মী দেবীর কৃপা তাঁরা সহজেই লাভ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই অর্থ উপার্জনের ব্যপারে ভাগ্যদেবী তাঁদের উপর সদাপ্রসন্না। তালিকায় এর পরেই রয়েছে কর্কট রাশির জাতকরা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কর্কট রাশির অধিপতি গ্রহ চন্দ্র। কোনও একটা কাজে একবার মন লেগে গেলে, সেখানে সাফল্য অর্জন না-করে তাঁরা হাল ছেড়ে দেন না কখনোই। এই গুণই তাঁদের অর্থভাগ্যের দরজা খুলে দেয়।
অর্থাৎ এই চার রাশির জাতক-জাতিকাদের কিন্তু অর্থলাভের সম্ভাবনা বেশ প্রবল। তবে এ-সবই সাধারণ পর্যবেক্ষণ। ফলে অন্যান্য রাশির জাতক জাতিকাদেরও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কারণ পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না। কঠোর পরিশ্রম করতে আপনি যদি কসুর না করেন, তবে যে রাশিরই জাতক হোন না কেন, ভাগ্যদেবীর কৃপাদৃষ্টি আপনার উপর পড়বেই।