‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি হয়েছে।’ বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন মমতা। পুলিশকে ক্লিনচিট রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর। বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত এসিপির পাশে অভিষেক। বিজেপির পাশে বিচারব্যবস্থার একাংশও। বিস্ফোরক অভিযোগ নেতার। ভারচুয়ালি শুনানিতে ভেঙে পড়লেন পার্থ-অর্পিতা। আমাকে বাঁচতে দিন, আবেদন পার্থর। দুজনেরই ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে ১১ হাজার নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত খবর:
1. বিজেপির নবান্ন অভিযানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিমতৌড়িতে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ইস্যুতে কড়া আক্রমণ শানালেন তিনি। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিজেপি কর্মীরা ব্যাগে করে বোমা এনেছিলেন বলেও দাবি মমতার। এমনকি অভিযানে বহিরাগতদের আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশকে মারধর করেছে, তাদের জন্য আইন আইনের পথে চলবে। এদিন বৈঠক থেকে পুলিশকর্মীদের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গিয়ে নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “নবান্ন অভিযানে এসিপি আক্রান্ত হয়েছেন। জগাছার এক পুলিশ কর্মীর চোখ নষ্ট হতে বসেছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নবান্ন অভিযানে পুলিশ চাইলে গুলি চালাতেই পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। পুলিশ সংযতভাবে মোকাবিলা করেছে।” বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এদিন পুলিশকে ক্লিনচিট দিলেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার তুমুল সমালোচনা করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
2. বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি, সুপরিকল্পিতভাবেই নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তি পাকিয়েছে বিজেপি। এটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। পাশাপাশি এবার সরাসরি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করলেন, বিচারব্যবস্থার একটা অংশের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বিজেপির উপর।
এদিন এসএসকেএমে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমি কলকাতা পুলিশের সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। যেভাবে আপনারা মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। আপনার জায়গায় আমি থাকলে, আমার সামনে যদি কেউ পুলিশ আধিকারিককে এভাবে মারত, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করত, তাহলে আমি তাঁর মাথায় গুলি করতাম।’ বিজেপি বাংলার শান্তি শৃঙ্খলা সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলেই এদিন গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি এই অভিযানের প্রেক্ষিতে আদালতের ভূমিকা নিয়েও রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। এমনকি বিচারপতি রাজশেখর মান্থা কীভাবে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর হত্যা তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেন, সেটা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।