শেষ হল একটা যুগের। সত্তর বছর রাজত্বের পর প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গোটা বিশ্ব জুড়ে শোকের ছায়া। শোকের ছায়া অস্ট্রেলিয়াতেও। হবে নাই বা কেন! এই দেশটি ছিল রানির দ্বিতীয় হোম। আর সেখানেই রয়েছে রানির লেখা পবিত্র চিঠি। আরও ৬৩ বছর যা থাকবে অন্ধকারেই। দেখবে না দিনের আলো। কী রহস্য এর পিছনে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
১৯৮৬ সালে সেই চিঠিটি লিখেছিলেন রানি। যা রাখা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির একটি ঐতিহাসিক ভবনে। তবে এই চিঠি যে সে চিঠি নয়। কারণ সেই চিঠিতে কী আছে, তা জানেন না কেউ। কারণ সেই চিঠি একশো বছর ধরে রাখতে হবে গুপ্ত। এমনটাই নিদান ছিল রানির।
আরও শুনুন: তিনশো হিরে খচিত বহুমূল্য প্ল্যাটিনামের নেকলেস! রানিকে উপহার দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের নিজাম
এমনকী সেই চিঠির কথা জানতেন না রানির খাস কর্মচারীরাও। একটি গ্লাসের বাক্সে সযত্নে তা রাখা হয়েছে ওই ভবনের ভিতরে। আরও ৬৩ বছর ওই ভাবেই থাকবে সেই পবিত্র চিঠিটি। ২০৮৫ সালের আগে তা প্রকাশ করার উপায় নেই কারওর।
সিডনির লর্ড মেয়রকে উদ্দিষ্ট করে একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন রানি। যেখানে লেখা আছে, ২০৮৫ সালের একটি উপযুক্ত দিন দেখে খুলতে হবে ওই রহস্যময় খামটি। আর সেই চিঠির বার্তা পড়ে শোনাতে হবে সিডনিবাসীকে। তলায় রয়েছে রানির সহস্তে স্বাক্ষর। এলিজাবেথ আর লেখা।
আরও শুনুন: জাতীয় সংগীতে গাওয়া হত ‘গড সেভ দ্য কুইন’, রানির মৃত্যুতে গানের কথাতেও বদলের হাওয়া
রানির অন্যতম পছন্দের দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া। জীবদ্দশায় অন্তত ১৬ বার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছেন তিনি। রানির প্রয়ানের পরে অস্ট্রেলিয়ার তরফে জারি করা হয় বিশেষ শোকবার্তা। ১৯৯৯ সালে অবশ্য রাজ্যের প্রধান পদ থেকে রানিকে সরানো হয়েছিল ভোটের মাধ্যমে। তবে সিডনিবাসীর মনে তাঁর জন্য পাকা আসন পাতা ছিল। এলিজাবেথ-যুগ অবসানের পর শুক্রবার সিডনির অপেরা হাউসে আলো জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় রানিকে। তবে গোটা সিডনিবাসীর কাছেই ওই চিঠি আজও রহস্য। কী বার্তা রেখে গিয়েছেন রানি তাঁদের জন্য, তা জানতে ঔৎসুক গোটা দেশবাসী। তবে তার জন্য তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে আরও তেষট্টিটা বছর।