নিজেই নিজেকে ‘ঈশ্বরের প্রতিভূ’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ষাটের দোরগোড়ায় পৌঁছনো প্রৌঢ়। আর সেই পরিচয়ের আড়ালেই নিয়মিত এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনা নাকি ধর্মীয় ক্রিয়ারই অংশ, এমনটাই জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শুনে নেওয়া যাক।
ধর্মের নামে দীর্ঘদিন নিজের লালসা মিটিয়ে চলেছিলেন প্রৌঢ়। পেশায় প্রযুক্তিবিদ ওই ব্যক্তি নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন ঈশ্বরের অবতার বলে। আর সেই প্রতারণার জাল বিছিয়েই নিজের কামনা তৃপ্তির উপায় খুঁজে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ধর্মীয় আচারের ছল করে একটি মেয়েকে নাবালিকা বয়স থেকেই নিয়মিত ধর্ষণ করে চলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বছর ৫৮ বয়সের ওই ব্যক্তি। ধর্ষণ এবং নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের দায়ে পকসো আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ভারসোভা পুলিশ।
আরও শুনুন: ধর্মের বাধা সরাল বিপর্যয়, বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানে মুসলিম পরিবারগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে মন্দির
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম সুরেশ কুমার রবীন্দ্র নারায়ণ অবস্তি। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী ওই ব্যক্তি নিজের ‘দৈব শক্তি’ রয়েছে বলে প্রচার করতেন। এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমেই সুরেশের এই দৈব শক্তির কথা জানতে পেরেছিলেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। আর এই সূত্রেই নির্যাতন শুরু হয় ওই মেয়েটির উপর। নির্যাতন প্রথম যখন শুরু হয়, তখন নির্যাতিতা নাবালিকা। ওই ব্যক্তি তাকে বুঝিয়েছিলেন যে এসবই আসলে ধর্মীয় আচারের অঙ্গ। আর এমন দাবি করেই বেশ কয়েক বছর ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: একই দিনে দুই পুরুষের সঙ্গে মিলন… যমজ সন্তানের বাবা দুই ব্যক্তি, দাবি তরুণীর
সম্প্রতি পরিবারের কাছে এই অত্যাচারের কথা খুলে বলেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ধর্মীয় আচার পালনের নামে ২০১৯ সাল থেকেই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করছিলেন সুরেশ। এমনকি, মেয়েটির বহু আপত্তিকর ছবিও তুলেছিলেন ওই ব্যক্তি। ধর্ষণের পাশাপাশি সেই সব ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করার হুমকি দিয়েও যৌন নির্যাতন চলত তাঁর উপরে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। এতদিনে সেসব কথা প্রকাশ্যে আনার সাহস সঞ্চয় করেছেন তিনি। আর তার জেরেই শেষমেশ দাঁড়ি পড়েছে ওই প্রতারকের কার্যকলাপে।