কথায় বলে ‘শাদি কা লাড্ডু’ যে খায়, সেই পস্তায়। আর তার হাত থেকে বাঁচতেই বিয়ের দিন হাসপাতালে গিয়ে লুকালেন বর! তবে শেষরক্ষা হল না! অভিনয়ের দুর্বলতায় ভেস্তে গেল সমস্ত পরিকল্পনা। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্কুলবেলায় শিক্ষকের বকুনি এড়াতে পেটব্যথা, জ্বরের অজুহাত শুনেছেন। তাই বলে বিয়ের হাত থেকে বাঁচতে হাসপাতালে রোগীর ভেক ধরল খোদ বর, এমন কথা শুনেছেন কখনও? তবে এমনটাই ঘটেছে সম্প্রতি তেলঙ্গানায়।
আরও শুনুন: কেবল মানুষ নয়, এখানে চাকরি করে হাজার হাজার হাঁসও
আমেরিকার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন অন্বেষ নামে ওই যুবক। ছুটিতে দেশে ফিরে হঠাৎই বিয়ের জন্য বায়না ধরেন তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যে যে করে হোক তাঁর বিয়ের ব্য়বস্থা করতেই হবে। তা ছেলের এমন বায়না শুনে আর চুপ করে থাকেন কী করে বাড়ির লোক! রাতারাতি বিয়ের সমস্ত কথা পাকা করে ফেললেন তাঁরা। হয়ে গেল আংটিবদলও। দুই পরিবারের তরফেই ঠিক করা হয়েছিল, একই জায়গায় হবে বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান। পণ হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা দিতেও রাজি হয়ে যায় কনের পরিবার। আংটিবদলের সময়েই ১৫ লক্ষ টাকা বরপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক হয়, বাকি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বিয়ের দিনই। দেখতে দেখতে হাজির হল বিয়ের দিন। সেজে উঠল মণ্ডপ। আত্মীয়ে আত্মীয়ে ছয়লাপ দুই বাড়িই। তবে কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পাননি, মনে মনে যে অন্য ফন্দি আঁটছে খোদ বরবাবাজী।
আরও শুনুন: এ গ্রামের কুকুরেরা নাকি কোটি টাকার মালিক! ভারতের কোথায় রয়েছে এই গ্রাম?
বিয়ের লগ্নের ঠিক আগে আসে অন্বেষ তাঁর বাড়ির লোকেদের জানান, পা পিছলে বাথরুমে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে। উদ্বিগ্ন পরিজনেরা রাতারাতি অন্বেষকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। তবে সেই চিকিৎসায় মোটেও সন্তুষ্ট হননি যুবক। ফের অসুস্থতার কথা বলতে থাকেন তিনি। বাধ্য হয়েই পরিবারের লোকেরা তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখানেও কোনও অসুস্থতা খুঁজে পাননি চিকিৎসকেরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা নাটকের পরে অবশেষে পর্দা পড়ে গল্পে। কনের পরিবারের চাপের মুখে সত্যি কথাটা স্বীকার করতে বাধ্য হন যুবক। বিয়ের হাত থেকে বাঁচতেই এমন অসুস্থতার ভান করেছিলেন তিনি। ফাঁস হয়ে যায় সে কথা। পাঁচ ঘণ্টা ধরে অসুস্থের অভিনয় কি আর মুখের কথা। আর সে কথা জানতে পেরে কনের বাড়ির লোকেরা তো তাঁকে এই মারেন কি সেই মারেন। তবে পরিবারের অন্য লোকদের তৎপরতায় সে যাত্রায় কোনও মতে রক্ষা পান যুবক। তবে শেষপর্যন্ত বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে তাঁর। তবে নিজেই বিয়ে করতে চেয়ে এমন কেন করলেন অন্বেষ, তার উত্তর এখনও খুঁজছেন গোটা পরিবার।