আশ্চর্য অস্ত্র মিওনির। সেই হাতুড়ি থাকে একমাত্র যোগ্যতমের হাতেই। আর সেই অস্ত্রের একমাত্র হকদার ওডিনপুত্র থর। মার্ভেল-দুনিয়ায় তিনি যে যোগ্যতম, তাতে তো সন্দেহ নেই। থরের ভূমিকায় অভিনয় করা ক্রিস হোমসওয়ার্থও কম যান না কোনও দিক থেকে। সেই ক্রিসকে নিয়েই শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যানকে চুমু খাওয়ার জন্য নাকি সম্প্রতি মাংস খাওয়াই ছেড়ে দেন ক্রিস। কেন এমন কাণ্ড? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বলিউড কুইন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে তাঁর ভক্ত অনেকেই। হলিউডের এই হিরোকে পর্দায় দেখলেই দোলা লাগে অসংখ্য হৃদয়ে। তার ওপর মার্ভেলভার্সে তিনি আবার দেবতা। সুঠাম দেহ, বাবরি চুল, হাতে বিদ্যুতের শক্তি আর উদাস করা দু’টি চোখ। তিনি বজ্রের দেবতা থর। গড অব থান্ডার। অ্যাসগার্ড বা যুদ্ধের ময়দানে তো বটেই, পেশাদার জীবনেও একই রকম একনিষ্ঠ থর থুড়ি ক্রিস হোমসওয়ার্থ।
আরও শুনুন: লিট্টি চোখা রান্না, নলকূপের জলে স্নান… ছুটি কাটাতে গ্রামে গিয়ে ‘মাটির মানুষ’ পঙ্কজ ত্রিপাঠী
ক্রিস হোমসওয়ার্থকে নিয়ে মহিলামহলে যতই হইচই থাক, মার্ভেলভার্সে থরের হৃদয়ে দোলা লাগাতে পেরেছেন একজনই। তিনি জেন ফস্টার। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘থর- লাভ অ্যান্ড থান্ডার’-এ দর্শকদের সামনে ধরা পড়বে তাঁদের সেই রসায়নই। ইতিমধ্যেই বক্সঅফিসে সাড়া ফেলেছে সেই ছবি। ছবির প্রচারে এসে জেন ফস্টার তথা নাটালি পোর্টম্যানের মুখে শোনা গেল অন্য ক্রিসের গল্প।
শুধু পর্দাতেই নয়, পর্দার বাইরেও মানুষকে একইরকম সম্মান করেন ক্রিস। সহ-শিল্পীদের অসুবিধার কথা ভেবে অনেক সময়ই ছোট ছোট আত্মত্যাগ করতে থাকেন অভিনেতা। তেমনটাই জানিয়েছেন নাটালি। এই ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করার জন্য নাকি মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন ক্রিস।
আরও শুনুন: স্তন ছোট বলেই বাদ পড়েছেন সিনেমা থেকে, বলিপাড়ার গুপ্তকথা ফাঁস করলেন রাধিকা
কারণটা শুনলে অবাক হবেন বৈকি। ইদানীং ভেগান খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। শুধু মাছ-মাংসই নয়, খাদ্য হিসেবে প্রাণীজাত কোনও কিছুই গ্রহণ করেন না এই মানুষেরা। এঁদের মধ্যে পড়েন ‘থর’ সিনেমার নায়িকা নাটালি পোর্টম্যানও। বেশ কয়েক বছর ধরেই ভেগান জীবনযাত্রা পালন করছেন তিনি। বাকি ভেগানদের মতোই তিনিও মাছ-মাংস বা দুধ কোনওটাই ছুঁয়ে দেখেন না। এমনকী ব্যবহার করেন না প্রাণীদেহ থেকে তৈরি কোনও জিনিসও।
এই ছবিতে নাটালির সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে জানার পরেই মাংস খাওয়ার অভ্যাস এক্কেবারে ত্যাগ করেন ক্রিস। এমনকী ছাড়েন প্রাণীজাত সমস্ত খাবারদাবারই। সুঠাম শরীরের জন্য বিখ্যাত ক্রিসের খাবারের মেনুতে এদিকে প্রাণীজ প্রোটিন থাকাটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সহশিল্পীর অসুবিধার সামনে সেই রুটিন ভাঙতেও দ্বিধা করেননি ক্রিস। না, নাটালি তাঁকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি। গোটাটাই ক্রিস করেছেন সৌজন্য ও ব্যক্তিগত সম্মানের জায়গা থেকে। যা জানার পর কার্যত অভিভূত হয়ে যান নাটালি। আর সেই গল্পই তিনি সম্প্রতি ভাগ করে নিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।
আরও শুনুন: ৫ লক্ষ কৃষক দিলেন ২ টাকা করে, তৈরি হল দেশের প্রথম ‘ক্রাউড-ফান্ডেড’ সিনেমা
পর্দার থরের প্রতি মুগ্ধতা তো ছিলই দর্শকদের, অভিনেতার এই অভিনব ব্যবহারে সেই মুগ্ধতা বেড়েছে কয়েক গুণ। ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে সেই চর্চা। আপাতত থর আর শি-থরের গল্পেই মজে অ্যাসগার্ড থেকে শুরু করে সিনেদুনিয়া।