আমন্ত্রণ বিতর্কের মাঝেই উদ্বোধন শিয়ালদহ-ফুলবাগান মেট্রো রুটের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দমকলের চাকরিতে বেনিয়ম মামলায় বাড়ল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ। পআদালত অবমাননার শাস্তি বিজয় মালিয়ার। অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে সরব তৃণমূল। ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় ফের তলব সোনিয়া গান্ধীকে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবারই উদ্বোধন হল শিয়ালদহ-ফুলবাগান মেট্রো রুটের। উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন বিকেলে শিয়ালদহে নবনির্মিত মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। তারপরই ভারচুয়ালি প্রকল্পটির উদ্বোধন করে বলেন, “আজ ফুলবাগান, শিয়ালদহ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন সফল হল। এই মেট্রো উদ্বোধনের ফলে কলকাতার মানুষের অনেক সুবিধা হবে। পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রেও সুফল মিলবে।” যদিও এই অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। যে সময় মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে, তখনই কেন মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন স্থির করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও এভাবে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, “বাড়িতে কার্ড ফেলে দিয়ে এলেই নিমন্ত্রণ হয় না। কুৎসিত রাজনীতি করছে বিজেপি।” এদিনের অনুষ্ঠানে তাই দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধিকেই।
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল মোল্লার সম্পর্কে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোমবার আদালতে সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার আগে অন্তত সাত-আটবার রেইকি করেছিলেন ওই ব্যক্তি। রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে থাকার দিন দশেক আগেও একবার সেই এলাকা ঘুরে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ছোটদের চকোলেট, কোল্ডড্রিংঙ্কস খাইয়ে খবর বের করারও চেষ্টা করেন ধৃত। জানা যাচ্ছে, সাঁতরে একবার তিনি বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, হাফিজুলের কাছে অন্তত ১১টি সিম কার্ড ছিল। বাংলাদেশে একাধিকবার ফোন করেছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর ফোন থেকে ফোন গিয়েছিল বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বেশ কিছু ছবি মোবাইলে তুলেছিলেন হাফিজুল। সেগুলি কাকে পাঠানো হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। এদিন অভিযুক্ত হাফিজুলের আইনজীবী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফিজুলকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধমূক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১২০বি ধারাতেও নতুন করে মামলা হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে গত ২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন হাফিজুল, তা জেরা করে জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।