মানুষ নয়, সুপারমডেল রোবট কর্মীরাই থাকবে দুবাইয়ের বিলাসবহুল রেস্তরাঁয়

বিলাসবহুল রেস্তরাঁ। কাস্টমার এলেন। তাঁকে উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন রেস্তরাঁর কর্মী। সেই কর্মীরা সকলেই সুপারমডেল। ফ্যাশন দুনিয়ায় যাঁদের দেখা মেলে, তাঁরাই এখানে থাকবেন। অর্ডার নেবেন, কথা বলবেন। যিনি এসেছেন তিনি যাতে সন্তুষ্ট হন, সেই চেষ্টাই করবেন। দুবাইয়ের এক রেস্তরাঁয় এই সব কাজই করবেন সুপারমডেলরা। তবে চমক এক জায়গাতেই। তাঁরা কেউ মানুষ নন, সকলেই রোবট।

আরও শুনুন: গন্ধ মাংসের মতো, ওজন অন্তত ৫০ কেজি… কোথায় রয়েছে পৃথিবীর এই প্রাচীন ফুল?

প্রযুক্তি এগোচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে আমাদের জীবনযাপনও। আধুনিক জীবন প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না। সেই প্রযুক্তিনির্ভরতাকেই প্রায় অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে দুবাইয়ের রেস্তরাঁ ‘ডোনা সাইবার-ক্যাফে’। ২০২৩-এ চালু হবে রেস্তরাঁটি। যেখানে থাকবেন না কোনও মানুষ কর্মী। কর্মীরা সকলেই রোবট এবং থাকবে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। বিশ্বে এমন রেস্তরাঁ এই প্রথম দেখা যাবে।

আরও শুনুন: রঙিন ফুলে ঢাকা, অথচ সায়ানাইডের থেকে ৬০০০ গুণ বিষাক্ত পদার্থ মেলে এই গাছে

আরডিআই রোবোটিক্সের তৈরি এই সুপারমডেলদের পোশাকি নাম Robo-C2। রোবটগুলিকে তৈরি করা হয়েছে মহিলাদের বৈশিষ্ট্য দিয়ে। অর্থাৎ সেগুলির বাহ্যিক গড়ন মহিলাদের মতোই। তবে পুরুষ-প্রকৃতির রোবটও যে থাকবে না, তা নয়। এখন যন্ত্রের দুনিয়ায় সবটাই যে যান্ত্রিক হয়ে উঠবে, এমনটা চাইছেন না খোদ রোবটের স্রষ্টারাও। আর তাই গড়পড়তা রোবটের থেকে এই মানবসদৃশ বা হিউম্যানয়েড রোবটগুলি একটু অন্যরকমই। এদের বড় গুণ হল মজুত তথ্যের ভিত্তিতে এরা কাস্টমারদের চিনতে পারবে। এবং তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও চালাতে পারবে। সবথেকে বড় কথা, মানুষের আবেগ বা অনুভূতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবে রোবটগুলি। আর সেইমতো এগিয়ে নিয়ে যাবে কথোপকথন। আর যেহেতু আদতে যন্ত্র, তাই কাস্টমার ঠিক যা চাইছেন, তাই-ই হাতে তুলে দেবে রোবটগুলি। যাতে সন্তুষ্টিতে কোনওরকম খামতি না হয়। এ ছাড়া কিছু স্বয়ংক্রিয় মেশিন থাকবে রেস্তরাঁতে যা পরিষেবা সহায়ক হবে।

মানবকর্মী বর্জিত এরকম রেস্তরাঁর অভিজ্ঞতা এই প্রথম পাবে দুনিয়া। তবে কি প্রযুক্তির পৃথিবীতে মানুষের গুরুত্বই ক্রমশ কমছে? নয়া অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এই প্রশ্নও থেকেই যাচ্ছে।