মনে করে দেখুন তো পাঁচ বছর বয়সে ঠিক কী কী করতে পারতেন আপনি? হয়তো আধো আধো কথা বলছেন। স্কুলেও যাওয়া শুরু করেছেন হয়তো। তবে এই বয়সেই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছে এই খুদে। লিখে ফিলেছে গোটা একটা বই। না, শুধু লিখেই ক্ষান্ত হয়নি। বইয়ের প্রচ্ছদও করেছে সে নিজেই। আসুন, শুনে নেওয়া যাক খুদের সেই কৃতিত্বের গল্প।
এক্কেবারে খুদে সে। মাত্র বছর পাঁচেক বয়স তার। মুখে আধো আধে বুলি ফোটার বয়সেই অবশ্য তাক লাগিয়ে দিয়েছে সেই কন্যা। একরত্তি হলে কী হবে, এই বয়সেই বাঘা বাঘা লেখকদের টেক্কা দিয়ে ফেলেছে সে। ইতিমধ্যেই তার লেখা একটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সে লিখেছে তো বটেই। বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে ভিতরের যাবতীয় অলংকরণও করেছে সে একা একাই।
আরও শুনুন: বুদ্ধিতেই বাজিমাত! কম বয়সে মেধার জোরে তাক লাগিয়েছেন যাঁরা
ব্রিটেনের ওয়েমাউথের বাসিন্দা বেলা জে ডার্কের এমন কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে এসেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষও। পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ লেখক হিসেবে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে বেলা। তার লেখা বই কিনতে রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এক হাজার কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে তার লেখা সেই বই।
২০১৬ সালের ৫ জুলাই জন্ম বেলার। সেই হিসেব করলে তার বয়স মাত্র ৫ বছর ২১১ দিন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশ পায় বেলার লেখা ‘দ্য লস্ট ক্যাট’ নামে বইটি। একটি খুদে বিড়ালকে নিয়ে এই গল্প। যে একদিন হারিয়ে গিয়েছিল তার মার হাত ছাড়িয়ে। অবশ্য দিনের শেষে বহু অলিগলি পেরিয়ে বাড়ি ফেরে সে। পাশাপাশি এ-ও বোঝে, মায়ের হাত ছেড়ে যাওয়া মোটেই উচিৎ হয়নি তার। আর সেই বিড়ালছানার গল্পই কলমে-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে ছোট্ট বেলা।
আরও শুনুন: কন্যাসন্তান জন্মালেই রোপণ ১১১টি চারা গাছ, কোথায় পালিত হয় এই প্রথা?
তাকে এই কাজে সাহায্য করেছেন তার মা চেলসি। তবে মূল লেখা ও আঁকাআঁকির কাজ একাই করেছে বেলা। গত সপ্তাহেই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অফিসিয়াল চিঠি পেয়েছেন চেলসি। বেলার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা থেকে পরিবারের সকলেই। নেটদুনিয়াও ভেসেছে শুভেচ্ছাবার্তায়। পুঁচকি মেয়ের এই প্রতিভা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই মুগ্ধ নেটিজেনরা।