মনের জোরের কাছে হার মানে যে কোনও প্রতিকূলতাই। সে কথাই যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন এই ব্যক্তি। দুর্ঘটনায় এক হাত হারিয়েও ভেঙে পড়েননি তিনি। উলটে পরিশ্রম করেই নিজের রুটিরুজি জোগাড় করে চলেছেন। আসুন, শুনে নেওয়া যাক এই অদম্য মানুষটির কথা।
যাই বাধা বিপত্তি আসুক না কেন, মনের জোর থাকলে যে কোনও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে ফেলা যায়। নীতিকথার কাহিনিতে এমন কথা শোনা যায় বারেবারে। কিন্তু বাস্তব জীবনেও যে সে কথা সত্যি হয়ে উঠতে পারে, মাঝে মাঝে কোনও কোনও মানুষ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। ঠিক তেমনই একজন মানুষ মিতেশ গুপ্তা। তাঁর সামনে আকস্মিকভাবেই বড়সড় প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল খাড়া করেছিল তাঁর শরীর। কিন্তু সেই বাধাকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে নিজের চলার পথ নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন এই ব্যক্তি। কোনোরকম বাধার সামনেই মাথা নোয়াতে রাজি নন তিনি। তাঁর এই আশ্চর্য সংগ্রামের গল্প সম্প্রতি সকলের সামনে এনেছেন আইএএস অফিসার সোনাল গোয়েল। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় এই কাহিনি ভাগ করে নিতে গিয়ে এর শিরোনাম হিসেবে তিনি লিখেছেন, আমার সব সমস্যাকে বলে দাও, আমার ঈশ্বর তার চেয়ে অনেক বড়। আর সেই পোস্ট দেখেই আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনেরাও।
আরও শুনুন: একটাই ব্ল্যাকবোর্ডে পড়ানো হচ্ছে হিন্দি ও উর্দু, সমন্বয়ের ভারতবর্ষের অন্য প্রকাশ শিক্ষাঙ্গনে
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ওই আধিকারিক। সেখানে দেখা গিয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম একজন মানুষকে। মুম্বাইয়ের মালাড অঞ্চলে নিজের পাওভাজির দোকানে দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করছিলেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যের কথা এখানেই, যে, অন্য কোনও কর্মচারী নয়, নিজেই পাওভাজি বানিয়ে বিক্রি করে চলেছিলেন ওই ব্যক্তি। একটি হাত নেই তাঁর। কিন্তু সবজি কাটাই হোক, কি হাতা খুন্তি নিয়ে রান্না করা, কিংবা পাওভাজি সাজিয়ে পরিবেশন করা, সব কাজ একা হাতেই সামলান ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: মা কুকুরের স্নেহ-আদরেই দিব্যি বড় হচ্ছে তিনটি বাঘের বাচ্চা, দেখে মুগ্ধ নেটদুনিয়া
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় নিজের বাঁ হাতটি হারান তিনি। কিন্তু তার পরেও হাল ছেড়ে দেননি ওই ব্যক্তি। বাহুর অবশিষ্ট অংশটুকুতে একটি ছুরি চেপে ধরে আরেক হাত দিয়ে দ্রুত সবজি কাটেন তিনি। রান্নার বাকি কাজও সারেন একা একাই। তাঁর এই অদম্য মনোবল আর অধ্যবসায়কেই কুর্নিশ জানিয়েছে নেটদুনিয়া। জীবন যত বাধার মুখেই দাঁড় করাক, কোনও পরিস্থিতিতেই যে হাল ছেড়ে না দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, সে কথাই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।