তখনও বিমানটি অবতরণও করেনি পুরোপুরি। তার মধ্যেই আচমকা খুলে গেল আপদকালীন দরজা। তড়াক করে বিমান থেকে লাফ দিলেন এক যাত্রী। গোটা ঘটনায় তাজ্জব বিমানচালক থেকে কর্মীরা। কেন এমন করলেন ওই যাত্রী? শেষ পর্যন্ত কী হল তাঁর সঙ্গে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মাঝেমধ্যেই দুঃসাহসী সব কাজ করে ফেলেন কেউ কেউ। যার জন্য নিজেদের বিপদ তো ডেকে আনেনই, বিরম্বনায় ফেলেন অন্যদেরও। চিড়িয়াখানার খাঁচায় ঢুকে বাঘ-সিংহের গলায় মালা দেওয়া থেকে শুরু করে বিমানে ডানায় ভাবে দাঁড়িয়ে বেআইনি যাতায়াত, এমন কত রকম দুঃসাহসী কাজের কথাই তো শুনতে পাই আমরা। মাঝেমধ্যে সেসব প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়ায়। এই ব্যক্তিও যে তেমন দুঃসাহসীকদের তালিকায় নাম তুলতে চেয়েছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও শুনুন: অভাব, বারবার ব্যর্থতা, তবু ছাড়েননি হাল! সিভিল আদালতের বিচারকের পদে সবজিবিক্রেতার মেয়ে
নাহলে কেউ চলন্ত বিমানের আপদকালীন দরজা খুলে দিয়ে বসে! শুধু খুলেই শান্ত হননি এই ব্যক্তি। সেই দরজা দিয়ে সটান লাফও দেয় সে। তার পর শুরু হয় বিমানে ডানা ধরে হাঁটাহাঁটি। গোটা ঘটনায় বিস্মিত বিমানচালক থেকে শুরু করে কর্মী এবং যাত্রীরা।
দুঃসাহসীকতার ফলও সে পেয়েছে হাতেনাতে। বিমানটি অবতরণের পরেই তাঁর হাতে হাতকড়া পরিয়েছে বিমানবন্দর পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে। সান দিয়েগো থেকে শিকাগো আসছিল সেটি। শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দরে নামার সময়ই ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘটান ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তি।
পুলিশ জানায়, ব়্যান্ডি ফ্র্যাঙ্ক ডেভিলা নামে ওই ব্যক্তি আদতে ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা। তাঁকে পাকড়াও করার পরে শিকাগো পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২৭ জুন তাঁকে আদালতে তোলা হবে। তবে এড়ানো গিয়েছে বিপদ। ওই বিমানের সমস্ত যাত্রী সুরক্ষিত রয়েছেন বলেই বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও শুনুন: কয়েকশো পোষ্যের ভার তাঁরই কাঁধে! তাদের মুখ চেয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছাড়তে নারাজ বৃদ্ধা
না, বিমানবন্দরে এসব ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রায়শই বিমানযাত্রীদের এমন আজগুবি কাণ্ডের সাক্ষী থাকতে হয় বিমানবন্দর ও বিমানসংস্থার কর্মীদের। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ করেছে ফেডারাল অ্যভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। গত মাসে বিমানকর্মীকে মারধর করার অভিযোগে এক যাত্রীকে দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। তবে তাতেও রাশ টানা যায়নি। গত এক বছরে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার এমন অভিযোগ পেয়েছে FAA।
তবে অভিযুক্ত হঠাৎ করে বিমানের দরজা খুলে বসলেন, সে রহস্যের অবশ্য এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। আপাতত জেরা করে সেই কথাটাই তাঁর পেট থেকে বের করার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা।