এক আধটা কয়েন নয়, খোয়া গিয়েছে অজস্র কয়েন। তাও আবার এসবিআই-এর একটি শাখার সিন্দুক থেকে। গায়েব হওয়া কয়েনের অর্থমূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা। দেখে মাথায় হাত কর্তাদের। আদালতের নির্দেশে এবার এই ঘটনার তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কোন শাখা থেকে চুরি হয়ে গেল এত টাকার কয়েন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, সিন্দুকে কয়েন থাকার কথা ১৩ কোটি টাকার। বিস্তর গোনাগুনির পর দেখা গেল, কোথায় কী! বেশিরভাগ কয়েনই নেই। যার অর্থমূল্য দাঁড়ায় ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, হাতে আছে মাত্র ২ কোটি টাকার কয়েন। কোথায় গেল বাকি টাকা? দিশেহারা ব্যাঙ্ক কর্তারা দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
আরও শুনুন: সম্প্রীতির নজির! হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় পুষ্পবৃষ্টি মুসলমান পড়শিদের
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের মেহন্দিপুর বালাজি এসবিআই শাখায়। হিসাবের কিছু একটা গরমিল হচ্ছে, এই আশঙ্কা থেকেই ব্যাঙ্কের হাতে থাকা মোট কয়েনের গণনার সিদ্ধান্ত নেয় ওই শাখা। গণনার বরাত দেওয়া হয় একটি প্রাইভেট সংস্থাকে। সমস্ত কয়েন গুণে মোট কত অর্থ ব্যাঙ্কের হাতে আছে তা বলে দেয় ওই সংস্থা। আর তখনই দেখা যায় মোটা অঙ্কের টাকাই গায়েব হয়ে গিয়েছে। কোথায় গেল এত টাকা? আপাতত তার হদিশ নেই। উদ্ধার হওয়া ২ কোটি টাকার কয়েন তুলে দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে। খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে প্রথমে রাজস্থান পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল ব্যাঙ্ক। পরে টাকার অঙ্ক দেখে রাজস্থান হাই কোর্টে সিবিআই তদন্তের আরজি জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩ কোটি টাকার বেশি খোয়া গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারস্থ হতে পারে ব্যাঙ্ক। সেইমতোই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্তভার তুলে দেওয়ার আরজি জানানো হয়। আদালত বিন্দুমাত্র দেরি করেনি সিদ্ধান্ত জানাতে। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। রাজস্থান পুলিশে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর নথি চেয়ে নিয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও শুনুন: গাড়ি থামিয়ে নমাজের জন্য চালককে সিট ছেড়ে দিলেন যাত্রী, প্রশংসা নেটিজেনদের
ঘটনার প্রেক্ষিতে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর বিষয়। জয়পুরের যে সংস্থাটি ব্যাঙ্কের কয়েন গণনার কাজ করছিল, তাদের কর্মীদের হুমকির মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। কাজ বন্ধ রাখার জন্য কেউ তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা। ঠিক কারা এই কাজ রুখতে চেষ্টা করেছিল তা স্পষ্ট নয়। যেখানে ব্যাঙ্ক নিজেই গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেখানে কেনই বা তাঁদের কাজ বন্ধের হুমকি দেওয়া হল তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধন্দ। ব্যাঙ্কের নিজস্ব সিন্দুক থেকে এত টাকার কয়েন গায়েব হওয়ায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আপাতত পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন তদন্ত আধিকারিকরা।