তারকা বলে কথা। তাঁদের একটুআধটু ট্যান্ট্রাম না থাকলে চলে নাকি! সকলের না হলেও বলিউডের বেশ কয়েকজন নাম করা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বায়নাক্কা সামলাতে গিয়ে বেশ নাকানিচোবানি খেতে হয় প্রযোজকদের। কী সেসব? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ট্যান্ট্রাম ছাড়া তারকা। সে যেন সোনার পাথরবাটি। তা তারকা হলেই যে হাজার রকমের বায়নাক্কা থাকে তা নয়। তাঁরা ব্যাতিক্রম। আর কে না জানে, ব্যতিক্রমই নিয়মের সব চেয়ে বড় প্রমাণ।
তা বলিউডে এমন তারকারাও রয়েছেন, যাঁদের হাজার রকম বায়নাক্কায় অনেক সময়ই বিপাকে পড়তে হয় প্রযোজক থেকে কলাকুশলীদের।
তাঁরা সকলেই প্রথম সারির অভিনেতা। একেকটা ছবি করতে তাঁদের পারিশ্রমিকের অঙ্কটা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই। তা তাঁদের যে কমবেশি বায়নাক্কা প্রযোজকদের শুনতে হবেই, তাতে আর আশ্চর্য কী!
করিনা কপূর থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, দেখে নেওয়া যাক আর কে কে রয়েছেন সেই তালিকায়।
আরও শুনুন: বারবার মোবাইল নম্বর বদলে ফেলেন অজয় দেবগণ, কেন জানেন?
বলিউডের অন্যতম সফল নায়িকা বেবো ওরফে করিনা কপূর। তিনি আবার নবাবঘরণীও। তা অল্পস্বল্প বায়নাক্কা তো তাঁর থাকবেই। তা তাঁর নাকি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা ছাড়া অন্য কোনও নিউ কামারসদের সঙ্গে পর্দায় কাজ করতে বেজায় আপত্তি। বি-গ্রেডের অভিনেতাদের সঙ্গে নাকি নিজের অভিনয় শক্তি তেমন করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন না এই অভিনেত্রী। তার জন্য একের পর এক ছবি প্রত্যাখ্যান করতে পিছপা হন না করিনা।
এর পরে আসা যাক বলিউডের অন্যতম অ্যাকশন হিরোর প্রসঙ্গে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। নিজেকে সব সময় ফিট রাখতে পছন্দ করেন তিনি। নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলছি? ঠিক ধরেছেন, তিনি বলিউডের খিলারি অক্ষয় কুমার। কাজের ব্যাপারে দারুণ সিরিয়াস এই অভিনেতা। সময়ানুবর্তিতার দিক থেকেও তাঁকে পাল্লা দেওয়া কঠিন। এ হেন অভিনেতার বায়নাক্কাটা কী শুনবেন? পৃথিবীতে যা-ই হয়ে যাক না কেন, রবিবার শুটিং করতে রাজি নন অক্ষয়। সপ্তাহের বাকি ছ-টা দিন হাড় ভাঙা খাটুনি খাটতে রাজি তিনি। তবে রবিবারের দিনটা নিজের আর পরিবারের জন্য বরাদ্দ রাখতেই পছন্দ করেন এই অভিনেতা। তা এমন পরিশ্রমী অভিনেতার সপ্তাহে একটা দিন ছুটির দাবিকে খুব বড় কোনও বায়নাক্কা বলবেন কিনা আপনারাই ভাবুন।
আরও শুনুন: নগ্ন হয়ে স্টেজে দৌড় থেকে সঞ্চালকের গায়ে ছাই দেওয়া – অস্কারের মঞ্চের আজব ঘটনা
এর পরে যাঁর কথা বলছি, তিনি পর্দায় এলে মহিলাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এমনই ক্যারিশমা তাঁর। আমরা কথা বলছি বলিউডের ব্লু আইড বয় হৃত্বিক রোশনের কথা। তাঁরও নাকি রয়েছে আজব বায়নাক্কা। তবে তাঁর সেই বায়নাক্কার আড়ালেই কিন্তু লুকিয়ে আছে অভিনেতার অমন সুঠাম শরীরে রহস্য।
হৃত্বিক নাকি যেখানেই যান, সেখানেই সঙ্গে করে নিয়ে যান নিজস্ব রাঁধুনীকে। এমনকি পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গেলেও তাঁর সঙ্গে থাকেন ওই বিশেষ শেফ। না, এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। শুটিং করতে যেখানেই যান না কেন জিমের সুবিধা তাঁর চাই-ই-চাই। এমনকি আউটডোরে গেলেও ছাড় নেই প্রযোজকদের। মাঝেমধ্যেই এ ব্যাপারটি বেশ নাজেহাল করে দেয় ছবির নেপথ্যের লোকেদের।
সবশেষে যাঁর কথা বলব, তিনি বলিউড তারকা শত্রঘ্ন সিনহার মেয়ে। তা সোনাক্ষীকে দেখলে অনেক সময়ই ষাট-সত্তরের দশকের অভিনেত্রীদের কথা মনে পড়ে। তবে অভিনয় নিয়েও বেশ পুরনোপন্থী সোনাক্ষী। অনস্ক্রিন চুম্বনে তাঁর নাকি বেজায় আপত্তি। ইদানীং যেখানে পর্দা জুড়ে চুম্বনদৃশ্যের ছড়াছড়ি, সেখানে এমন ট্যাবু কিন্তু বেশ বিরল। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ‘দাবাং’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।
নিজেদের শিল্প এবং অভিনয় দিয়ে যেভাবে দর্শকদের মন ভরিয়ে রেখেছেন, তাতে এটুকু ট্যান্ট্রাম মেনে নেওয়াই যায়, কী বলেন!