দিল্লিতে অভিষেককে ম্যারাথন জেরা ইডি-র। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যের সরকারি স্কুলের পোশাকে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। গোয়া-উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা বিজেপির। এ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে মাঝআকাশে ভেঙে পড়ল চিনের একটি বিমান। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, বার্তা জেলেনেস্কির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘মাথা নত করব না’, ইডির তলবে দিল্লি যাওয়ার আগে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আরও শুনুন: 19 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সভাপতি পদের আশা ছাড়ুুন রাহুল, দাবি বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবার ইডি-র মুখোমুখি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চলল টানা সাড়ে আট ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। ইডির চোখা প্রশ্নবাণ সামলে যখন বেরোলেন, তখনও অবশ্য ক্লান্তির কোনও ছাপ নেই শরীরে। বরং চোখেমুখে ছিল আত্মবিশ্বাসেরই ছাপ। জেরা শেষে সাফ জানালেন, কোনও চাপের সামনেই তিনি মাথা নত করবেন না। এখনও তিনি তাঁর বক্তব্যে অনড়। কেননা তিনি কিচ্ছু লুকোচ্ছেন না। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে এদিন শাসকদল বিজেপিকে একহাত নিতেও ছাড়লেন না অভিষেক। কয়লা ও গরুপাচার সংক্রান্ত যে অভিযোগে তাঁকে তলব, তা নস্যাৎ করে দিয়ে অভিষেক বলেন, গরু কি একটা ছোট্ট পতঙ্গ নাকি! এতবড় প্রাণীটা পাচার হলে বিএসফ কী করছিল? খনি ও সংলগ্ন এলাকা কাদের নজরদারিতে থাকে, সে প্রশ্ন তুলে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। বেছে বেছে কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিরোধীদের দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলিতেই যে ইডির হানা চলছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানিয়ে দিলেন, মাথা নিচু করে যাঁরা বেঁচে থাকে, তিনি তাঁদের দলে পড়েন না। মাথা উঁচু করে যদি মৃত্যুবরণ করতে হয়, তা-ও সই। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি মিথ্যা অভিযোগের নতিস্বীকার করবেন না। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি হবেন না ইডির।
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট নিয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ এপ্রিল।
গত ৪ মার্চ বারাণসী থেকে কলকাতায় ফেরার সময় বিভ্রাট হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে। দমদম বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের তরফে চাপ দেওয়া হয় ডিজিসিএ-কে। যার জেরে ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ATC’র অনুমতি নিয়েই বিমানটি নিচে নামানো হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে গত ১০ মার্চ আইনজীবী বিপ্লব চৌধুরী কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর আবেদন, ২০১৬ সালেও মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে এধরনের বিভ্রাট হয়েছিল। এর নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। এই মর্মে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
সোমবার মামলার শুনানিতে একাধিক প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। বিচারপতি জানান, “প্রথমবার বিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। এবার মুখোমুখি চলে এল দু’টি বিমান। বারবার কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপত্তি হচ্ছে, তা জানাক ডিজিসিএ।” আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে অবস্থান জানানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ২৫ এপ্রিল এই মামলার শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।