এবার কোভিড টিকা পাবে ১২-১৪ বছর বয়সিরা। ১৬ মার্চ থেকে শুরু কর্মসূচি। ষাটোর্ধ্ব সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য ছাড়পত্র বুস্টার ডোজে। আনিস হত্যাকাণ্ডে সিট-এই ভরসা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকির। ২ কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় বিধানসভায় সরব বিজেপি। নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে টুইটারে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিনক্ষণে বদল। ১৬ এপ্রিলের পরিবর্তে ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে জেইই মেন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে কোপ, ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার
বিস্তারিত খবর:
1. করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ। তবু করোনার টিকাকরণ কর্মসূচিতে ঢিলেমি দিতে রাজি নয় মোদি সরকার। তাই কোভিড টিকাকরণ নিয়ে সোমবার বড় ঘোষণা করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এ বছরের শুরু থেকেই করোনার টিকা পাচ্ছিল ১৫-১৮ বছর বয়সিরা। এবার ১২-১৪ বছরের কিশোর-কিশোরীদের করোনা টিকার আওতায় আনল কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, ষাটোর্ধ্বদের জন্য ‘প্রিকশান ডোজ’ অর্থাৎ বুস্টার ডোজে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এতদিন কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্বরাই কেবল টিকার ‘বুস্টার’ ডোজ নিতে পারতেন। এতদিন ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং বিভিন্ন উপসর্গ বা কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁরাও বুস্টার ডোজ পেতেন। এবার সেই নিয়ম বদলে গেল। টিকা পাবেন সকলে। চলতি নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩৪ সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ পাওয়ার কথা। এই সময় পার হওয়ার পর তাঁদের মোবাইল ফোনে এসএমএস আসবে, এমনটাই জানানো হয়েছে আইসিএমআর থেকে।
এদিন টুইট করে টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি লেখেন, “শিশুরা নিরাপদ থাকলে দেশ নিরাপদে থাকবে! আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ১৬ মার্চ থেকে ১২-১৩ এবং ১৩-১৪ বছর বয়সি শিশুদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “ষাটোর্ধ্বরা এবার থেকে প্রিকশান ডোজ পাবেন। শিশুদের পরিবার এবং ষাটোর্ধ্বদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাই।” বুধবার অর্থাৎ ১৬ মার্চ থেকেই দেশজুড়ে শুরু হবে এই টিকাকরণ কর্মসূচি।
2. আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট-এর উপরই আস্থা রাখলেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সিট-এর তদন্তের উপর তাঁদের ভরসা রয়েছে। ১৫ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আরও অনেক তথ্য সিট পেতে পারে, তাই এখনই সিবিআইয়ের দাবিও তাঁরা তুলছেন না।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মাধ্যমে আনিসের বাবাকে ফের আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার। মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে খুশি কাশেম। তাঁর বক্তব্য, “দিদি বলেছেন সিট গঠন করেছি। সিট সঠিক তথ্য নেবে। যে দোষী সে অবশ্যই শাস্তি পাবে। তার জন্য আমি অবশ্যই জোর দিয়ে দেখছি। দিদির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম যে উনি এটার শেষ দেখে ছাড়বেন।” তিনি জানান, সিট এদিন সব কিছু জমা দিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। তা নিয়েও কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “আনিসের বাবাকে চিন্তা করতে বারণ করবেন। আমি স্বয়ং তাঁর পাশে আছি।” সিবিআই এখনই তাঁরা চাইছেন না বলে কাশেমের বক্তব্য, “দিদি বলেছেন, আগে আমি কি করছি দেখুন।” তিনি ফিরে গিয়ে আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান কাশেম।
এদিকে, সোমবারই আনিস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সময় বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের তরফে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু না ঘটলে অথবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলে সময় বাড়ানো হবে না বলেও সাফ জানানো হয়েছে বিচারপতির তরফে। এরপরও তদন্ত শেষ না হলে আদালত পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।