ভাল লাগুক আর না লাগুক, সপ্তাহে অন্তত একটা দিন লন্ড্রি দিবস পালন না করে উপায় নেই। অর্থাৎ রাজ্যের জামাকাপড় কাচা ধোয়া শুকোনোর সেই পাহাড়প্রমাণ কাজ। কিন্তু ভুল করেও এই ভুলগুলি করে ফেলছেন না তো?
আপনি একাই থাকুন কি দোকা, বাইরে বেরোন কিংবা গৃহবন্দি জীবন কাটান, ঘরের যে কাজগুলি আপনাকে করতেই হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল জামাকাপড় কাচা। না হলে যে কী হবে, তার উত্তর মেলে পুরনো প্রবাদে, ‘গায়ের গন্ধে ভূত পালাবে’। এখন যদিও খানিক সুবিধা দিয়েছে ওয়াশিং মেশিন। মেশিনে জামাকাপড় আর ডিটারজেন্ট ফেলে দিলে মোটামুটি নিশ্চিন্ত। সময় আর পরিশ্রম, দুই-ই বাঁচে। কিন্তু মেশিনেই কাচাকাচি করুন বা হাতে, এইসব ভুল করলে কিন্তু সবই মাটি। বেমালুম নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার সাধের জামা কিংবা চাদরটি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আরও শুনুন: ভিডিও কলেই চলছে মিটিং, ঠিক কী করলে ফুটে উঠবে আপনার ব্যক্তিত্ব? রইল টিপস
যত রঙের কাপড়জামাই থাকুক না কেন, সাদা রং ছাড়া যেন ওয়ার্ড্রোব অসম্পূর্ণ। একইসঙ্গে ফর্মাল ওয়্যার, আবার চূড়ান্ত ক্লাসিও বটে। কিন্তু সাদা রং মেন্টেন করা যেমন মুশকিল, তেমনই সাদা রঙের পোশাকআশাক ধোয়ার সময়ও প্রয়োজন অতিরিক্ত যত্ন। ভুল করেও যদি সাদা আর রংবেরঙের জামাকাপড় একসঙ্গে মেশিনে ফেলে দেন, ধোয়ার পর মুফতেই রামধনু রঙের নতুন জামা পেয়ে যাবেন আপনি। সুতরাং, জামাকাপড় কাচার সময় বর্ণভেদ মেনে চলুন বরং। তবে কেবল সাদা নয়, রঙিন কাপড়ের বেলাতেও নিন বাড়তি যত্ন। রঙিন কাপড় ধোয়ার সময়ে ঢেলে দিন এক চা চামচ নুন। তাতে বজায় থাকবে আসল রং। পাশাপাশি, ধোয়ার সময় পোশাকটি উলটে নিন। পোশাকের বাইরের দিক যেমন পরিবেশের ধুলো ধোঁয়া লেগে ময়লা হয়, তেমনই ভেতরের দিকটিতে কিন্তু আপনার শরীরের ঘাম ময়লা লেগে থাকে। সুতরাং পোশাকের দুপাশ সমানভাবে পরিষ্কার করে নেওয়াই জরুরি।
আরও শুনুন: অফিসে এক জায়গায় বসে একটানা কাজ! ঘাড়-পিঠের ব্যথা এড়াতে কী করবেন?
শুধু জিন্স বা কৃত্রিম ভাবে তৈরি কাপড়ের পোশাক ধোয়ার জন্য গরম জল ব্যবহার করুন। বাকি সব পোশাক, বিশেষ করে গাঢ় রঙের পোশাক, বা সুতির পোশাক ঠান্ডা জলেই ধুয়ে নিন। নয়তো রং উঠে পোশাক ছোট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে হ্যাঁ, শখের জামা ছোট হয়ে গেলে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেও দেখতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে ঈষদুষ্ণ জলে অল্প বেবি শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে পোশাকটি কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। অবস্থার সামান্য উন্নতি হতে পারে কিন্তু।
তা বলে কখনোই কিন্তু জামাকাপড় অনন্ত কাল ধরে ভিজিয়ে রাখবেন না। বা ধোয়া জামাকাপড় মেশিনেই ফেলে রাখবেন না। জামাকাপড় ধোয়ার পর স্যানিটাইজ করতেও যেন ভুলবেন না। ধোয়া এবং স্যানিটাইজ করা, এই দুই কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। ডিটারজেন্ট জামাকাপড় পরিষ্কার করে কেবল, কিন্তু লন্ড্রি স্যানিটাইজার জীবাণু তাড়ায়। স্যানিটাইজার ব্যবহার করা কতখানি জরুরি, দুবছর ধরে করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তা নিশ্চয়ই আর নতুন করে বলার দরকার নেই। ঘরোয়া কাজের ক্ষেত্রেও তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন। তাতে আখেরে লাভ হবে আপনারই।