পিছিয়ে গেল রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট। রাজ্যে মেয়াদ বাড়ল করোনা-বিধিনিষেধের। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা পজিটিভ ১৯ হাজার ৬৪ জন। ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। যদিও দিল্লির অনুষ্ঠানে বাদ রাজ্যের নেতাজি-ট্যাবলো। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে লড়ছেন যোগী আদিত্যনাথ। অধিনায়কের টুপি তুলে রাখলেন বিরাট কোহলি।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কলকাতা হাই কোর্টের পরামর্শকে স্বীকৃতি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অতিমারী আবহে পিছিয়ে গেল ৪ পুরনিগমের নির্বাচন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, ৪ পুরসভার ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি হতে পারে ভোট গণনা। আপাতত কোভিড নিয়ম মেনে চলতে পারে প্রচার। তবে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে।
মহামারী আবহে রাজ্যের ৪ পুরনিগমের নির্বাচন পিছনো কি সম্ভব? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এর মধ্যে শনিবারই রাজ্যের তরফে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠায় নবান্ন-ও। তার পর ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এই সিদ্ধান্তের জন্য আদালত এবং কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেয় টুইটারে তিনি লেখেন, “ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্ট এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অনেক ধন্যবাদ। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্যপূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” এদিকে সব পুরসভার ফল্প্রকাশ একই দিনে করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর দাবি, অন্যথায় প্রভাবিত হতে পারেন ভোটাররা।
2. রাজ্য জুড়ে করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। তবে মেলা এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিয়মবিধি খানিকটা শিথিল করা হয়েছে।
নবান্ন জানিয়েছে, খোলা জায়গায় কোভিডবিধি মেনে মেলার আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সরকারি বিধিনিষেধ মানতে হবে মেলা কর্তৃপক্ষকে। এদিকে এসেই পড়েছে বিয়ের মরশুম। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়ম মেনে এতদিন সর্বাধিক ৫০ জনকে নিমন্ত্রণ করা যেত। ফলে মাথায় হাত পড়েছিল অনেকেরই। লাটে উঠেছিল ক্যাটারিং ব্যবসা। তাঁদের কথা মাথায় রেখে বিয়ের অনুষ্ঠানে জমায়েতে ছাড় দিল রাজ্য সরকার। ৫০ জনের বদলে সর্বাধিক ২০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। অথবা ম্যারেজ হলের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোকজনকে আমন্ত্রণ করা যাবে।
তবে পুরনো নিয়ম মেনেই বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ-সহ যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি-বেসরকারি অফিসে হাজিরা থাকছে ৫০ শতাংশ। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ট্রেন। নিয়ম মেনে খুলবে শপিং মল, বার-রেস্তরাঁ, সিনেমা হল। ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে খোলা থাকবে সাঁলো-পার্লারও। তবে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকছে রাজ্যে। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরনো চলবে না। নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।