পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা… ঠিক ধরেছেন এ সব ঘুড়িরই নাম। বাঙালির বহু উৎসবের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে এই ঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজো হোক বা সরস্বতী পুজো, ঘুড়ির ঝাঁকে আকাশ রঙিন হয় পাড়ায় পাড়ায়। তবে শুধু এই দুই উৎসবই নয়, মকর সংক্রান্তির সঙ্গেও কিন্তু যোগ রয়েছে এই ঘুড়ির। কী সেই যোগ? শুনে নিন।
বড়দিনে উপহার নিয়ে হাজির হন সান্তা। তার জন্য গোপন ইচ্ছে লুকিয়ে রাখতে হয় মোজায়। তেমনই মকর সংক্রান্তিতে পোস্টম্যানের কাজ করে নাকি ঘুড়ি। তার মাধ্যমেই সূর্যদেবের কাছে পৌঁছে যায় মানুষের গোপন ইচ্ছেরা। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই!
মকর সংক্রান্তি মানেই তো পিঠেপুলি, নতুন গুড়ের মিঠে গন্ধ। আবার মকর সংক্রান্তি মানে গঙ্গায় পুণ্যস্নান। তবে ঘুড়ি এল কোথা থেকে!
বাংলার বাইরে অনেক জায়গায় তো বটেই, বাংলার গ্রামগঞ্জের বহু জায়গাতেই রয়েছে এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল। মকর সংক্রান্তিতে বাংলায় নতুন ফসল তোলার উৎসব হয়। তবে বাংলার বাইরে বহু জায়গাতেই কিন্তু সূর্যের আরাধনা করা হয় এই সময়ে। এই পৃথিবীতে নিত্য প্রাণের ধারা বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয় আদিম সূর্যকে।
আরও শুনুন: জলে ডুবে থাকে গর্ভগৃহ, অহংকারেই নাকি হেলে পড়েছিল কাশীর এই মন্দিরের চূড়া
মানুষের মনের ছোট ছোট ইচ্ছে, আশা, প্রার্থনা এই দিনটিতে সূর্যের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য নেওয়া হয় পিওনের। ঠিক ধরেছেন, সেই পিওন হল ঘুড়ি। বহু জায়গাতেই মকর উৎসবের দিন ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে।
গুজরাট, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় রয়েছে এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল। তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশেও রয়েছে এই রীতি। গুজরাটে এই উৎসব প্রচলিত ‘উত্তরায়ণ’ নামে। সেখানে বেশ জনপ্রিয় এই উৎসব। সেখানে প্রতিবছরই প্রায় প্রত্যেক বাড়ির ছাদে ছাদে জমে ওঠে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা। নানা রঙের বাহারি ঘুড়িতে ছেয়ে যায় আকাশ। সেটা একটা দেখার মতো বিষয় বটে। এই উৎসব উপলক্ষে গুজরাটে দু-দিন ছুটিও দেওয়া হয়।
আরও শুনুন: দেবী জগদ্ধাত্রীকে স্বপ্নে দেখেন নবাবের কারাগারে বন্দি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
তবে কেবল অন্য রাজ্যেই নয়, মকর সংক্রান্তিতে বাংলার মধ্য়েও রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর সুপ্রাচীন প্রথা। খুব বেশি দূরে নয়, বর্ধমানেই রয়েছে এই চল। সাধারণ ভাবে বাংলায় বিশ্বকর্মা বা সরস্বতী পুজোয় বেশি ঘুড়ি উড়লেও মকর সংক্রান্তিতে বর্ধমানের আকাশ ছেয়ে যায় রঙিন ঘুড়িতে। আর এই প্রথা আজকের নয়। এর পিছনে রয়েছে অন্য ইতিহাস।
বাকি অংশ শুনে নিন।