শীতকাল এমনিতে বেশ আরামদায়ক হলেও, অনেকেই এ সময়টায় নানা ধরনের ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। আর ড্যান্ড্রফ বা খুশকিও তেমনই। কমবেশি সকলেই কখনও না কখনও এই সমস্যার মুখোমুখি পড়েছেন। জনসমক্ষে বেশ অস্বস্তিতেও ফেলে এই ব্যাপারটি। কীভাবে এড়াবেন খুশকির সমস্যা? শুনে নিন।
বাহারি সোয়েটার কিংবা মাফলারে সুন্দর করে সেজেছেন! হঠাৎই খেয়াল করলেন ঘাড়ের কাছে সোয়েটারে ড্যান্ড্রাফ। সকলের সামনে এ ব্যাপারটা বেশ অস্বস্তিকর তো বটেই। তবে চিন্তা করবেন না, শীতকালে এমন সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভোগেন।
নানা কারণেই হতে পারে এই ড্যান্ড্রাফ বা খুশকির সমস্যা। বেশির ভাগ সময়েই স্কাল্পের শুষ্কতাই খুশকির সবচেয়ে বড় কারণ। ঠান্ডা এবং শুষ্কতার জন্য স্কাল্পের ত্বকে একধরনের ফাঙ্গাস জন্মায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুশকি। আবহাওয়ার পরিবর্তন থেকে শুরু করে দূষণ, সবের কারণেই হতে পারে খুশকি। আবার বেশি তৈলাক্ত খাবারদাবার খাওয়া কিংবা স্ট্রেস, এসবও হতে পারে কারণ।
আরও শুনুন: ঘরবন্দি হয়ে আটকে ডিজিটাল দুনিয়ায়! অ্যামনেশিয়া থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
বাজারে হাজার রকম ওষুধ পাওয়া যায় ড্যান্ড্রাফ সারানোর। আবার হাতের কাছে রয়েছে ঘরোয়া টোটকাও। লেবু, আমলকির মতো বহু ফলের নির্যাসই যে খুশকি কমাতে সাহায্য করে, তা তো আমরা জানিই। কিন্তু কী ভাবে এড়াবেন ড্যান্ড্রাফের সমস্যা। ডার্মাটোলজিস্টরা কিন্তু বাতলেছেন এমনই কিছু উপায়। শুনে নেওয়া যাক, কী বলছেন তাঁরা।
মাথায় সরাসরি গরম লাগাবেন না। অতিরিক্ত উত্তাপ কিন্তু খুশকি বাড়াতে সাহায্য করে। ভেজা চুলে থাকার জন্যও কিন্তু বাড়তে পারে ড্যান্ড্রাফের সমস্যা। পাশাপাশি ভেজা চুলের কারণে বাড়ে মাথা ধরা। লেগে যায় ঠান্ডাও। সে কারণেই শীত পড়লেই খোঁজ পড়ে হেয়ার ড্রায়ারের। কিন্তু ড্রায়ার ব্যবহার করলে অনেক সময়েই মাথায় সরাসরি গরম লাগে। আর তা আবার ড্যান্ড্রাফ বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মুছে মুছে ভেজা চুল শুকনো করে নিন। তার পরে ব্যবহার করবেন হেয়ার ড্রায়ার।
আরও শুনুন: মাথার যন্ত্রণায় অস্থির? ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়
শীত পড়লে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। তবে চিনি বা সুগার কিন্তু ত্বক বা চুল কোনও কিছুর জন্যই ভাল নয়। শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়লেও কিন্তু হতে পারে ড্যান্ড্রাফ। তাই চিনির বদলে এ সময়টা বেছে নিতেই পারেন মধু কিংবা গুড়।
জল খান বেশি করে। শীতকালে এমনিতেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। আর তার ফলে আমাদের ত্বক ও চুল ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যার জেরে বাড়তে পারে খুশকির সমস্যা। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ৫ লিটার জল খাওয়া কিন্তু খুব জরুরি। শীতকালে সেই মাত্রা কমে চার লিটার হতে পারে। তবে তার কম নয়।
বাকি অংশ শুনে নিন।