ইদানীং সোলো ট্রিপের কিন্তু বেশ চল। সময়-সুযোগ বুঝে ব্যাকপ্যাক ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। তেমনই বেরিয়ে পড়েছিলেন এই কন্যা। ব্যাকপ্যাক তো ছিলই, সঙ্গে ছিল একটা গোটা প্লেনও। ঠিকই শুনেছেন। তিনি পাইলট। বিমানে করে বিশ্ব পরিক্রমা শেষ করে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন ১৯ বছরের জারা। তিনিই পৃথিবীর কনিষ্ঠতম মেয়ে, যিনি বিমানে করে বিশ্ব পরিক্রমা করেছেন! ভেঙে দিয়েছেন গিনেস বিশ্ব রেকর্ড। আসুন, শুনে নিই সেই গল্পই।
বয়স মাত্র ১৯। তার মধ্যেই আকাশ ছুঁয়েছেন তিনি। শুধু যে আকাশই ছুঁয়েছেন তা নয়, সেরে ফেলেছেন বিশ্বভ্রমণ। সম্প্রতি বিমানে করে বিশ্বপরিক্রমা সেরে ঘরের মেয়ে ফিরেছেন নিজের দেশে।
জারা রাদারফোল্ড। বেলজিয়ামে থাকলেও ব্রিটেন ও বেলজিয়াম- এই দুই দেশেরই যৌথ নাগরিকত্ব রয়েছে জারার। বাবা-মা দুজনেই পেশায় বিমান চালক। ফলে বলাই যায়, বিমান চালানোর নেশা তাঁর জন্মসূত্রে অর্জিত।
আরও শুনুন: করোনাকালে চিনে আটকে দেশবাসী, ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভারত-কন্যা লক্ষ্মী
২০২১ সালের ১৮ অগস্ট বেলজিয়াম থেকেই যাত্রা শুরু করেছিলেন জারা। ২০২২ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি বেলজিয়ামের কোয়েত্রা শহরের মাটি এসে ছোঁয় তাঁর বিমানের চাকা। এই ক’মাসে ঘুরে এসেছেন অন্তত ৪১টি দেশ। পেরিয়েছেন ৫২ হাজার কিলোমিটার। ভেঙে ফেলেছেন দু-দুটো গিনেস বিশ্ব রেকর্ড। তিনিই বিশ্বের কনিষ্ঠতম মেয়ে, যিনি বিশ্বপরিক্রমা শেষ করেছেন বিমান চালিয়ে।
এর আগে ২০১৭ সালে আমেরিকার শিয়েস্তা ওয়াইজ বিশ্ব পরিক্রমা সেরেছিলেন বিমানে, তখন তাঁর বয়স ৩০। তাঁর রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন জারা। পাশাপাশি বেলজিয়াম থেকেও তিনি প্রথম কন্যা, যিনি একা পৃথিবী ভ্রমণ করলেন বিমান চালিয়ে।
একা একা বিশ্বভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা ঠিক কেমন ছিল? কী বলছেন অ্যাংলো-বেলজিয়াম পাইলট জারা?
আরও শুনুন: ক্যানসার জয় করে সফল উদ্যোগপতি, ১৫০ কোটি টাকার সংস্থার মালিক হয়ে নজির কণিকার
সব মিলিয়ে একেবারে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা, জানিয়েছেন বেলজিয়াম কন্যা। স্পনসরশিপের শর্ত অনুযায়ী, রাতে যাত্রা করার অনুমতি ছিল না জারার। সে সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময় বিমান উড়িয়েছেন তিনি। কোনও কোনও জায়গায় একেবারে যে ভয় লাগেনি এমনটা নয়। বিশেষত নিউ ইয়র্কের জেগে থাকা একটি আগ্নেয়গিরি ও বরফঢাকা সাইবেরিয়ার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় রীতিমতো আতঙ্ক হত তাঁর। জারা জানান, সাইবেরিয়ার যখন বরফ ঢাকা প্রান্তরের উপর দিয়ে প্লেন চালাচ্ছেন, নিচে তাকালে চমকে উঠতেন। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জনমানবের চিহ্নমাত্র নেই। নেই ইলেকট্রিকের তার, নেই রাস্তা। যদি কোনও ভাবে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় বিমানের! কী হবে! সেসব কথা ভেবে শিউড়ে উঠতেন। অনেক জায়গাতেই নানা অসুবিধার মুখেও পড়েছেন। কোথাও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া, তো কোথাও করোনা। কোভিড-বিধি থাকার জন্য যেমন চিনের আকাশসীমায় ঢোকার অনুমতিই পাননি জারা।
বাকি অংশ শুনে নিন।