ক্যালিফর্নিয়া থেকে হাওয়াই- প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে প্রায় ২৪০০ নটিক্যাল মাইল তাঁরা পার করেছেন রোয়িং করে। আর তাতেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মেয়েদের এই দল। আসুন, শুনে নেওয়া যাক, তাঁদের সেই কৃতিত্বের গল্প।
সমুদ্রের উথালপাথাল ঢেউ সামলে রোয়িং মোটেই সহজ কথা নয়। আর সেই কাজটাই হাসতে হাসতে করে দেখিয়েছেন মেয়েদের একটি দল। ক্যালিফর্নিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে রোয়িং করে তাঁরা পৌঁছেছেন হাওয়াই-এ। সব মিলিয়ে প্রায় ২,৪০০ নটিক্যাল মাইল। মোট ৩৪ দিন ১৪ ঘণ্টা এবং ১১ মিনিটে ওই দূরত্ব অতিক্রম করেছেন তাঁরা। যা গড়েছে বিশ্বরেকর্ড।
আরও শুনুন: জলের নিচে বিশ্বের বৃহত্তম পোর্ট্রেট, শহিদ বিক্রম বাত্রাকে অভিনব উপায়ে শ্রদ্ধা জানাল সেনা
গত জুন মাসে সান ফ্রান্সিসকো থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ল্যাট-৩৫ ক্রু নামে দলটি। না, ওই দলে একজনও পুরুষ নেই। এমনকী সাহায্যকারী হিসেবেও ছিল না কোনও ছেলে। গোটাটা সামলেছেন মেয়েরাই। গত মঙ্গলবার সকালে হনলুলুতে পৌঁছয় দলটি। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে ওই বিরাট দূরত্ব রোয়িং করেই পেরিয়েছেন তাঁরা। ক্যালিফর্নিয়া থেকে পৌঁছেছেন হাওয়াইয়ে। এর আগে আর কেউ এত কম সময়ে ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নামও তুলে ফেলেছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: গৃহহিংসা থেকে বাঁচিয়েছিল সন্ন্যাস, অন্য মেয়েদের বাঁচার পথ দেখাচ্ছেন এই ‘রকস্টার’ সন্ন্যাসিনী
সব মিলিয়ে মোট চার জনের দল। লিবি কোস্টেলো, সোফিয়া ডেনিসন, ব্রুক ডাউনিস আর অ্যাড্রিন স্মিথ- চার তরুণী মিলেই ঘটিয়ে ফেলেছেন বিস্ময়। এই গোটা সময়টা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেয়েছেন দাঁড়। সমুদ্রের দুর্গম পথ বা ঝড়বৃষ্টি, কোনও কিছুই ভাঙতে পারেনি তাঁদের অসম মনোবল। ইতিমধ্যেই তাঁদের প্রশংসায় উপচে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নয়, এমনকি শারীরিক শক্তিতেও নয় তা প্রমাণ করে ছেড়েছে মেয়েদের এই দল। দলের সদস্য ব্রুকের কথায়, “আমরা কেউ সুপারহিউম্যান নই। তবে আমরা অনন্য।” আর সেটাই তাঁরা জানাতে চান দুনিয়াকে। হাওয়াইতে পৌঁছে আমেরিকাকে সুপ্রভাত জানাতে ভোলেননি মেয়েদের এই রোয়িং টিম।