একটা স্যান্ডউইচের দাম ১৭ হাজার টাকা! যা তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন বিরল খাদ্য সামগ্রী দিয়ে। দামের জেরে এই স্যান্ডউইচের নামও উঠেছে গিনেস বুকে। কী এমন রয়েছে এর ভিতর? আসুন শুনে নিই।
বানাতেও ঝক্কি কম, খাওয়াও হয়ে যায় চটজলদি! তাই জলখাবার হিসেবে স্যান্ডউইচের জুড়ি মেলা ভার। ভিতরে কী দেওয়া হচ্ছে স্যান্ডউইচের দাম মূলত তার উপরই নির্ভর করে। তবে ভিতরে যাই দেওয়া হোক, এই খাবারের দাম যে খুব বেশি হয় তা নয়। কিন্তু নিউ ইয়র্কের এক রেস্তোরাঁয় নাকি এমন এক স্যান্ডউইচ পাওয়া যায়, যার দাম ১৭ হাজার টাকা! এমন দামের জেরে এই স্যান্ডউইচটিকে বিশ্বের সবথেকে দামী স্যান্ডউইচ বলেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: বেজায় যানজটে আটকে, লগ্ন না বয়ে যায়! মেট্রো চেপেই ছাদনাতলায় কনে
কিন্তু এমন দামের কারণ কী?
আসলে এই স্যান্ডউইচ যেসব জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেগুলির বাজার মূল্যই আকাশছোঁয়া। তাই সেগুলি একসঙ্গে স্যান্ডউইচের ভিতরে থাকায় এর, দামও হয়ে গিয়েছে অনেকটাই বেশি। রাস্তোঁরার তরফে এর পোশাকী নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুইন্টেসসেন্সিয়াল গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচ’। সাধারণত দুটি পাউরুটির মাঝে পুর ভরে দিলেই স্যান্ডউইচ তৈরি হয়ে যায়। এই ‘কুইন্টেসসেন্সিয়াল স্যান্ডউইচ’ -টিও আলাদা কোনও পদ্ধতি মেনে তৈরি করা হয়নি। শুধু এর প্রতিটি উপাদান তৈরি হয়েছে অত্যন্ত দামী কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়ে। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পুলমান শ্যাম্পেন ব্রেড। এই বিশেষ পাউরুটিই হল কুইন্টেসসেন্সিয়ালের প্রধান উপকরণ। বলা হয়, এই পাউরুটির মধ্যে খাদ্যযোগ্য সোনার গুড়োও মেশানো থাকে। সেইসঙ্গে থাকে খুবই দামী এক শ্যাম্পেন। কুইন্টেসসেন্সিয়াল বানানোর সময় এই বিশেষ পাউরুটির উপর প্রথমেই মাখানো হয় ট্রাফল মাখন। এরপর এর ভিতরে পুর হিসবে দেওয়া হয় কাশিওকাভালো নামে এক বিশেষ চিজ। এখানেই শেষ নয়। এই স্যান্ডউইচ পরিবেশনের সময় দেওয়া হয় এক বিশেষ ধরনের সসও। যা তৈরি করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ লবস্টার-টোমেটো সস দিয়ে।
আরও শুনুন: চায়ের দোকান খোলাই স্বপ্ন, মোটা মাইনের চাকরি হেলায় ছাড়লেন বাঙালি যুবতী
যেহেতু এর মধ্যে থাকা অধিকাংশ খাদ্য সামগ্রীই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়, তাই যে কোনও সময় গেলেই এই স্যান্ডউইচ পাওয়া যায় না। প্রায় ৪৮ ঘন্টা আগে রেস্তোরাঁয় অর্ডার দিলে তবেই তাঁরা কুইন্টেসসেন্সিয়াল বানানোর সামগ্রী আনাতে পারেন। তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা। এর ভিতর যে বিশেষ চিজ ব্যবহার করা হয় তা এমন এক গরুর দুধ থেকে তৈরি হয় যা সবসময় পাওয়া অসম্ভব। ইটালির এক বিশেষ প্রজাতির গরু, যা বছরে কেবল দু মাসই দুধ দেয় তার থেকেই তৈরি হয় সেই চিজ। তাই সারাবছর কাসিওকাভালো চিজ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। একই ভাবে ট্রাফল মাখনও নাকি সবসময় সহজলভ্য থাকে না। তাই শুধুমাত্র পকেটের জোর থাকলেই যে বিশ্বের সবথেকে দামী স্যান্ডউইচ স্বাদ পাওয়া সম্ভব হবে, এমনটা নয়। এর জন্য থাকতে হবে ভাগ্যের জোরও।