স্বদেশবাসীর সাফল্যে কে না গর্বিত হয়! ফাইনালে যখন মেসি-এমব্য্যাপেরা লড়বেন, তখন তাঁদের দেশের মানুষ আশায় বুক বাঁধবেন। কামনা করবেন সাফল্য। ঠিক সেভাবেই ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াকের সাফল্য কামনা করছেন ক্যারোলিনা বোজার, ফুটবলবিশ্ব যাঁকে দিয়েছে সুন্দরী রেফারির খেতাব। মার্সিনিয়াকের উদ্দেশে কী বললেন ক্যারোলিনা? আসুন শুনে নিই।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জুড়ে যেমন বিতর্ক হয়েছে, তেমন আছে অবিস্মরণীয় নজিরও। এই প্রথমবার বিশ্বকাপে পুরুষদের খেলার রাশ হাতে তুলে নিয়েছিলেন একজন মহিলা রেফারি। তিনি স্টেফানি ফ্ল্যাপার্ট। তাঁর সহযোগী হিসাবে ছিলেন দুজন মহিলা রেফারি। তাঁদের কৃতিত্বে ফুটবল ইতিহাসে যুক্ত হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়। এবার বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্বের থাকা মার্সিনিয়াককে নিয়ে মুখ ফুললেন আর এক মহিলা রেফারি। মার্সিনিয়াককে নিয়ে মনের কথা জানালেন তিনি।
আরও শুনুন: খেলার টানে হাজির ১১ বিশ্বকাপে, গিনেস বুকে নাম ব্রাজিলীয় ফুটবলপ্রেমীর
ফুটবলবিশ্বে ক্যারোলিনা অপরিচিত নন। রেফারি হিসাবে ম্যাচ পরিচালনার জন্য যেমন তিনি পরিচিত, তেমনই ফুটবলদুনিয়া তাঁকে আর-এক খেতাবও দিয়েছে। তাঁকে ফুটবলবিশ্বের সুন্দরী রেফারির অভিধা দিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই তিনিই মার্সিনিয়াককে নিয়ে গর্বিত। তা বিশ্বকাপ ফাইনাল যিনি পরিচালনা করছেন, সেই রেফারিকে নিয়ে গর্ব হওয়া স্বাভাবিক। তবে এখানে একটি বিশেষ কারণও আছে। ক্যারোলিনা ও মার্সেনিয়াক দুজনই পোল্যান্ডবাসী। আর তাই স্বদেশবাসীর গর্বে গৌরব অনুভব করছেন ক্যারোলিনা।
আরও শুনুন: মেসি-ম্যাজিকে বুঁদ বিশ্বে ফুল ফোটাচ্ছেন নীরবেই, স্ক্যালোনি যেন আর্জেন্টিনার অন্য নায়ক
বিশ্বকাপ ফাইনালের উত্তেজনায় ফুটছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা। উন্মাদনা দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যেও। স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের ম্যাচে সবার নজর থাকবে প্রিয় দলের ফুটবলারদের উপর। তবে সবথেকে বেশি নজর বোধহয় থাকবে রেফারির উপরেই। কেননা এই ম্যাচের ভাগ্য রেফারির নিখুঁত সিদ্ধান্তের উপরই যে নির্ভর করবে, সে কথা সকলেই জানেন। পান থেকে চুন খসলে যে বিপদ হতে পারে, তা মার্সিনিয়াকের থেকে ভাল বোধহয় আর কেউ জানেন না। আর তাই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া, তাঁর জীবনের অন্যতম কৃতিত্বের ব্যাপার। সেই গৌরব অনুভব করছেন ক্যারোলিনাও। নিজে একজন রেফারি হয়ে , তাঁরই দেশের একজন এই রেফারির সাফল্য যে তাঁকে গর্বিত করে তুলেছে, তা তিনি জাইয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মার্সিনিয়াক ও তাঁর পোলিশ সহযোগীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ম্যাচটি পরিচালনা করতে পারেন, সেই প্রার্থনাই করছেন তিনি। ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যেমন তাঁদের দেশ জয় দেখতে চাইছেন, পোল্যান্ডের ক্যারোলিনা তেমনই দেখতে চাইছেন পোলিশ মার্সিনিয়াকের সাফল্য। এর আগে এই বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। তবে ফাইনাল পরিচালনার ধার আর ভার দুই-ই আলাদা। সেই উত্তেজনা অনুভব করছেন মার্সিনিয়াক স্বয়ং। জানিয়েছেন, তিনি যেমন গর্বিত, তেমনই তাঁর সহযোগীদের জন্যও গর্ব অনুভব করছেন। মার্সিনিয়াক হয়তো জেনে খুশি হবেন যে, তাঁকে নিয়ে গর্বিত তাঁর স্বদেশবাসীও। ক্যারোলিনার বার্তা হয়তো বাড়তি আনন্দই দেবে মার্সিনিয়াককে। আপাতত তাঁর দিকেই তো তাকিয়ে যুযুধান দুই দেশের সমর্থক আর সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা।