বিশ্বকাপ বরাবরই বর্ণময়। কত না ঘটনা! বিতর্ক, উন্মাদনা। চলতি বিশ্বকাপের মরশুমে যখন সবাই মশগুল, তখনই ফিরে দেখা অতীতের টুকরো মুহূর্ত। আচ্ছা অক্টোপাস পলের কথা মনে আছে? ম্যাচের আগেই যে ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী করে ফেলতো। এমনকি ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের নাম আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছিল সেই পল। অথচ শোনা যায় সেবছর বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই সে মারা যায়। তাহলে ভবিষ্যৎবাণী করেছিল কে? আসুন, শুনে নিই।
২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। সকলের মুখে মুখে ঘুরছে শাকিরার গাওয়া ওয়াকা-ওয়াকা। তিকি-তাকা ফুটবলের প্রশংসায় গোটা পঞ্চমুখ গোটা বিশ্ব। এসবের সঙ্গেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ‘পল’। একটি একেবারেই সাধারণ অক্টোপাস। তবে তার বিশেষ গুণ বলতে একেবারে সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করতে পারত সে। খুব সাধারণ এক প্রক্রিয়ায় এই কাজ করত সে। প্রথমে তার সামনে একইরকম খাবার দিয়ে দুটি পাত্র রাখা হতো। যেগুলির গায়ে ম্যাচের প্রতিপক্ষ দলের পতাকা লাগানো থাকত। পল যে কোনও একটি পাত্রের ভিতরে ঢুকে যেত। এবং আশ্চর্য ভাবে সেই দলই জিতে যেত পরের দিন। এভাবেই বিশ্বকাপের প্রায় ৮টি ম্যাচে একেবারে নির্ভুল গণনা করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই প্রাণীটি। তবে তার মৃত্যু ঘিরেও রয়েছে এক অদ্ভুত বিতর্ক।
আরও শুনুন: অদ্ভুত চুলের ছাঁটে বাজিমাত, কেন এমন স্টাইল বেছে নিয়েছিলেন রোনাল্ডো?
সম্প্রতি পল-কে নিয়ে একটি গবেষণাভিত্তিক সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবেন চিনা পরিচালক। তাঁর গবেষণার ভিত্তিতেই এই নতুন তথ্য সবার সামনে উঠে আসে। তাঁর মতে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার দুদিন আগেই পল-এর মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কেউ বা কারা পলের বদলে অন্য একটি অক্টোপাসকে রেখে দেয়। ফাইনাল ম্যাচের ভবিষ্যৎবাণী নাকি সেই করেছিল। এবং অদ্ভুত ভাবে তা মিলেও গিয়েছিল।
আরও শুনুন: নিয়মের রক্তচক্ষু, তবু খোলামেলা পোশাকেই কাতার কাঁপাচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী
যদিও তাঁর এই দাবিকে মানতে নারাজ পলের লালন-পালনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। তাঁদের মতে, স্বাভাবিক নিয়মেই ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে অর্থাৎ বিশ্বকাপের বেশ কয়েকমাস পর পলের মৃত্যু হয়েছিল। এতদিন গোটা বিশ্ব তাই জানত। তবে ওই চিনা পরিচালকের বয়ান নতুন করে ভাবিয়েছে গোটা বিশ্বকেই।