আর্জেন্টিনার ফ্যানদের কাছে তিনি ‘ফুটবলের ভগবান’। যদিও বল পায়ে তাঁর অসাধারণ শৈলী দেখে মুগ্ধ হয় প্রতিটি দলের সমর্থকই। ৩৫ বছরের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই নিজের দলকে পৌঁছে দিয়েছেন শেষ আটে। এরই মাঝে তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত হল এক চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র দৌড় নয়, প্রতি ম্যাচেই গড়ে ৪ কিমি হাঁটেন মেসি! আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। বিপক্ষের ডিফেন্সের কাছে এই নামটুকুই যথেষ্ট। এই একটি মানুষ যে কী ম্যাজিক করতে পারেন, তা তাঁদের থেকে ভাল আর কেই বা জানবে! অন্যদিকে সতীর্থদের কাছে তিনিই প্রধান ভরসা। তাই তিনি মাঠে থাকলে সকলের নজর তাঁর দিকে যেতে বাধ্য। যেমন সুন্দর বলের উপর নিয়ন্ত্রণ, পায়ে বল পেলে তেমনই দুর্দান্ত গতিতে দৌড়। ইতিহাসের অধিকাংশ শৈল্পিক গোলেই নিজের নাম লিখে রেখেছেন মেসি। ক্লাব ফুটবল হোক বা জাতীয় দলের হয়ে খেলা, পারফর্মেন্সের দিক দিয়ে তিনি সেরার সেরা প্রমাণ করেছেন নিজেকে। সেই মেসিই নাকি মাঠে নেমে অদ্ভুত এক কাজ করেন। জানা গিয়েছে, তিনি নাকি প্রতি ম্যাচেই গড়ে ৪ কিমি করে হাঁটেন।
আরও শুনুন: পাঠিয়েছেন নগ্ন ছবি, ফুটবলাররা কি দেখেছেন? ভক্তদের জানালেন সেই ব্রাজিলীয় মডেল
সম্প্রতি কোন খেলোয়াড় মাঠে কতটা হাঁটেন সে বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কাতার বিশ্বকাপ কর্তৃপক্ষ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, চলতি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচেই গড়ে ৪ কিমি করে হেঁটেছেন মেসি। যার ফলে সেই তালিকায় তিনবার মেসির নাম রয়েছে। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দলকে জয় দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু সেই ম্যাচ শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই একটি অসাধারণ গোল করেন মেসি। এবং তারপরের তিনটি ম্যাচেই পরপর জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচগুলিতেই গোল করার পাশাপাশি মেসি নাকি ৪ কিমি করে হেঁটেওছেন। এব্যাপারে তাঁর থেকে সামান্য এগিয়ে লেওনডস্কি। জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রায় ৫ কিমি হেঁটেছিলেন তিনি।
আরও শুনুন: জন্ম ব্রাজিলে, তবু মেসির জন্যই নগ্ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই মডেল
যদিও মেসির এমন অভ্যাস নাকি নতুন নয়। সে বিষয়ে জানিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের ম্যানেজার পেপ গুয়ারদিওয়ালা। একসময় মেসিকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করায়, তিনি মেসি সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য দিয়েছেন। মেসি নাকি প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ওই ভাবে সচল রাখে। খেলা শুরুর প্রথম ৫ মিনিট হলেই মেসি খুঁজতে শুরু করেন বিপক্ষের দুর্বল জায়গাটি কোথায়। সেই কারণেই সারা মাঠ জুড়ে হাঁটতে থাকেন তিনি। এ ছাড়াও মাঠের যে কোনও অংশ থেকেই বল নিয়ে বিপক্ষের বর্ম ভেদ করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তাই কখন কোথা থেকে তিনি গতি বাড়িয়ে দেবেন তা বোঝার সাধ্য নেই কারও। সারা মাঠ জুড়ে হাঁটতে হাটতেই তিনি নাকি মাথার মধ্যে ছকে ফেলেন গোটা মাঠের মানচিত্র। তারপর সুযোগ পেলেই দুরন্ত ক্ষিপ্রতায় বল পায়ে এগিয়ে যান বিপক্ষের গোলের দিকে। বলাই বাহুল্য, এহেন অসাধারণ নৈপুণ্যের জোরেই তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন উন্নতির চরম শিখরে। তিনি নিজে না স্বীকার করলেও, সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় যে মেসির নাম লেখা থাকবে, তা আবিশ্ব ফুটবলপ্রেমীই জানেন।