ধোনি যদি রাজনীতিতে পা রাখেন, তাহলে তাঁর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আসমুদ্র ভারত জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নের অতীত। একবার নাকি তিনি কানাঘুষো শুনেছিলেন যে, ধোনি লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করতে অবশ্য সরাসরি সব সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল।
মাঠে তিনি ক্যাপ্টেন কুল। যদিও প্রতিপক্ষকে মাত দিতে একটা চালও হাতছাড়া করেন না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জানে, মহেন্দ্র সিং ধোনি মানেই যেন যাবতীয় অসম্ভব সম্ভব হয়ে ওঠা। দেখে মনে হয়, কী এক মন্ত্রবলে তিনি যেন অপ্রত্যাশিত কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলেন! তবে আদতে তা নয়। ক্রিকেটকে যিনি রক্তমজ্জায় চেনেন, তিনিই পারেন ক্রিকেট নামের খেলাটিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে। ধোনি চিরকাল তা করেছেন। আর তাই তিনি ম্যাজিসিয়ান। সেই জাদুকর ধোনি কি খেলা ছেড়ে আসতে পারেন রাজনীতির আসরে? এমন প্রশ্ন যে দেশবাসীর মনে জাগে না, তা নয়। এবার তা নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিলেন বিসিসিআই কর্তা রাজীব শুক্লা।
ভারতবর্ষের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম ধোনি। নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ তাঁর সহজাত। এক সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। তার পর ধোনি যখন ভার নিলেন, তখন ভারতীয় টিম যেন অন্য রূপ পেল। যে জায়গায় সৌরভ শেষ করেছিলেন, সেখান থেকে শুরু করেই ধোনি দেশের ক্রিকেটকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন বলা যায়। যিনি এরকম নেতা, তিনি কি রাজনীতিতে তাঁর নেতৃত্বের ছাপ রাখতে পারেন না! এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, যে, একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার সব রকম যোগ্যতা ধোনির আছে। নেতৃত্বের গুণের কারণেই তাঁর এই অভিমত। একই কথা তাঁর মন হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও।
বিসিসিআই কর্তা ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন যে, ধোনি যদি রাজনীতিতে পা রাখেন, তাহলে তাঁর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আসমুদ্র ভারত জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নের অতীত। একবার নাকি তিনি কানাঘুষো শুনেছিলেন যে, ধোনি লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করতে অবশ্য সরাসরি সব সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। তা সত্ত্বেও রাজীব মনে করেন যে, দেশের একজন অন্যতম রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে পারেন ধোনি। যদি তিনি রাজনীতিতে আসেন! কিন্তু আসবেন কি? সেটাই যাকে বলে কোটি টাকার প্রশ্ন। ধোনি একদিকে যেমন জনপ্রিয়, তেমন আবার বেশ মুখচোরাও। ব্যক্তিগত জীবন তিনি স্পটলাইটের আড়ালে রাখতেই ভালোবাসেন। ক্রিকেট আর ব্যক্তিজীবনের মাঝে তাই মোটা পর্দা তুলে রাখতেই পছন্দ করেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। অথচ রাজনীতিবিদদের কারবার জনপরিসরে। ধোনির চরিত্রের এই যে দ্বৈততা, তা আদৌ তাঁকে রাজনীতিতে টেনে আনবে কি-না, সে ধন্দ থেকেই যায়। আর তাই রাজীব মনে করেন, ধোনি রাজনীতিবিদ হতেই পারেন। তবে আদৌ রাজনীতিতে মহেন্দ্র-ক্ষণ আসবে কি-না, তা সবটাই নির্ভর করছে ধোনির ইচ্ছার উপর। কেননা আন্তর্জাতিক দুনিয়া জানে, মহেন্দ্র সিং ধোনি নামের মানুষটি অন্য ধাতুতে গড়া। খ্যাতি-জনপ্রিয়তা ইত্যাদি তিনি যেমন অর্জন করতে পারেন, তেমনই আবার হয়ে উঠতে পারেন সন্ন্যাসী রাজাও। অতএব রাজনীতি ধোনিকে পাবে কি-না, সে প্রশ্নের উত্তর একমাত্র দিতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি স্বয়ং, আর কেউ নন।