ইউরো কাপে মাঠ মাতিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। আর তারপরেই ভাইরাল ছোট্ট ইয়ামালের সঙ্গে মেসির ছবি। তাতে কী প্রতিক্রিয়া সেই ভাইরাল ছবির ফটোগ্রাফারের? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বছর ষোলোর একটা ছেলের সোলো শোয়ে ভেসে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রতিবন্ধকতার বারে ধাক্কা খাইয়েই সে সাফল্যের জালে জড়িয়ে দিচ্ছে জীবন। ইউরো-র ময়দানে সেই লামিন ইয়ামালকে দেখেই আপাতত ছিটকে গিয়েছেন তাবত ফুটবলপ্রেমীরা। মেসির সঙ্গে এখনই তুলনা টানা হচ্ছে তাঁর। আর সেই তুলনার রেশ ধরেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মেসির সঙ্গে ইয়ামালের ছবি। সে অবশ্য মাঠের যুগলবন্দি নয়। হওয়ার কথাও ছিল না। কারণ এখন ইয়ামালের যা বয়স, মেসি তখন তার চেয়ে বছর চারেকের বড়। ফুটবলদুনিয়ায় মেসির দাপিয়ে বেড়ানো ততদিনে শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইয়ামাল যে তখন নেহাতই কোলের শিশু। ইউরোর আজকের তারকাকে বাথটাবে বসিয়ে স্নান করাচ্ছেন বছর কুড়ির মেসি, এমনই এক ছবি তোলা হয়েছিল তখন। আর সে ছবিই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই সময়ে।
আরও শুনুন:
ষোলোর সোলো শোয়ে নক্ষত্রের জন্ম, ইয়ামালের রূপকথা যেন মতি নন্দীর উপন্যাস
কিন্তু সেদিন এ ছবি যিনি তুলেছিলেন, এ ঘটনায় তাঁর কী প্রতিক্রিয়া? সেদিনের সেই ছোট্ট শিশুটি যে একদিন মাঠ কাঁপাবেন, পাল্লা দেবেন ছবির অন্য তারকার সঙ্গেও, সে কথা কি আর জানতেন তিনি! সেদিন যে ছবির গুরুত্ব ছিল কেবল মেসির জন্যেই, এখন সে ছবির দুই চরিত্রই তারকা। এই পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের সেই পুরনো দিনটিতে ফিরে গিয়েছেন আলোকচিত্রী জোন মনফোর্ট, যিনি সেদিন এই ছবিটি তুলেছিলেন।
আরও শুনুন:
লোভী পৃথিবীতেও থেকে যায় যে মুগ্ধ দ্রাবিড়বাদ
সে সময়ে বার্সার একাধিক খেলোয়াড়ের ফোটোশুট করেছিলেন মনফোর্ট। আসলে ইউনিসেফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডার তৈরি করছিল এক কাতালান সংবাদপত্র। তার জন্যই বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু-তে জনাকয়েক শিশু ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বার্সার খেলোয়াড়দের ছবি তোলা হয়েছিল। তারই অংশ ছিল মেসি ও ইয়ামালের ছবি। মনফোর্ট সে দিনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, মেসির তখন বছর কুড়ি বয়স। খুব লাজুক। হঠাৎ তাঁকে লকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে গিয়ে মেসি দেখেন একটি জলভর্তি বাথটাব, তার মধ্যে একটি শিশু। সেখানে ছবি তুলতে গিয়ে খানিক ঘাবড়েই গিয়েছিলেন আজকের সুপারস্টার। শিশু ইয়ামালকে কী করে ধরবেন, প্রথমে তাই বুঝতে পারছিলেন না। ফলে প্রথমে ছবি তুলতেও বেশ সমস্যা হয়েছিল। তবে ক্রমে সকলে সহজ হয়ে যেতে মনের মতো ছবিটি তুলে নেন মনফোর্ট। সেই ছবিই এতদিন পর এভাবে চর্চায় উঠে এসেছে দেখে আনন্দে ভাসছেন বছর ৫৬-র ফটোগ্রাফারও। ছবি তোলার জীবনে এ পাওনা যে কম কিছু নয়, সে কথাই জীবন হঠাৎ করে বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁকে।