তিনি দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রেরণা। শচীন তেন্ডুলকর- এই নাম উচ্চারণেই জাগে সম্ভ্রম-সমীহ। আজকের তরুণ প্রজন্ম তাঁর জীবন থেকেই খুঁজে নেয় জীবনে সংগ্রামের রশদ। আর সেই শচীনের জীবনেই গভীর প্রভাব পড়েছিল মারাঠাবীর ছত্রপতি শিবাজীর। কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরস্মরণীয়। মুঘল আগ্রাসন প্রতিহত করে যেভাবে তিনি হিন্দু সাম্রাজ্যকে একত্রিত করেছিলেন, তা ভারত-ইতিহাসের স্মরণীয় অধ্যায়। তাঁর বীরত্ব, কীর্তিগাথা আজও উৎসাহিত করে তোলে দেশবাসীকে। সেই মারাঠাবীর ছত্রপতি শিবাজির গভীর প্রভাব আছে শচীন তেন্ডুলকরের জীবনেও। সম্প্রতি সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: সবার উপরে সমর্থক সত্য… ATK সরতেই মোহনবাগান নিয়ে আবেগঘন চর্চা নেটদুনিয়ায়
শিবাজি যেমন এক সময়ের গণনায়ক, তেমন আধুনিক ভারতের অন্যতম নায়ক বলা যায় শচীন তেন্ডুলকরকে। ক্রিকেটের ব্যাট হাতে গোটা দেশকে যে দশকের পর দশক এক সংহতিতে বেঁধে রাখা যায়, তা তিনি করে দেখিয়েছেন। ক্রিকেট খেলা হয় মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যেই। প্রতিভা আর পরিশ্রমের জোরে সেই দেশগুলির মধ্যেই ভারতের নিশান যেভাবে তুলে ধরেছেন শচীন, তার তুলনা মেলা ভার। আর তাই শচীনের মধ্যেই আধুনিক ভারত তাঁর কাঙ্ক্ষিত নায়ককে খুঁজে পেয়েছে। শচীনের সাফল্য, ব্যর্থতা হয়ে উঠেছে দেশবাসীর নিজস্ব সুখ-দুঃখের কাহিনি। ক্রিকেটার থেকে শচীন ক্রমে উন্নীত হয়েছেন মিথের পর্যায়ে। এমন একজন মানুষ তিনি, যা কয়েক প্রজন্ম ধরে প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছেন, তাঁদের একটি অংশই হয়ে উঠেছেন। সেই শচীন যখন নিজের জীবনে প্রেরণার কথা বলতে গিয়ে শচীনের কথা বলেন, তখন ভারত-ইতিহাসের অতীত ও বর্তমান যেন এক বিন্দুতে এসে মিলে যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শচীন জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ছত্রপতির ছাপ পড়েছে তাঁর মনে। স্কুলে ইতিহাস পড়ানোর সময় প্রথম যে অধ্যায়টি তিনি পড়েছিলেন, তা শিবাজি সংক্রান্ত। বলা যায়, সেই সময় থেকেই শিবাজি চরিত্রটির রেখাপাত তাঁর মনে। পরে যখন প্রথমবার ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন, সে মাঠেরও নাম ছিল ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ গ্রাউন্ড। অর্থাৎ জীবনের সেই সূচনাপর্ব থেকেই শিবাজি মহারাজের প্রভাব পড়েছিল তাঁর জীবনে। পরবর্তীকালে বিদেশি ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যে লড়াই শচীন করেছিলেন, তাঁর প্রেরণার বিন্দু বোধহয় ইতিহাস বইয়ের অধ্যায়েই রাখা ছিল।