‘পারলে মোদিই পারবেন’, মোদি সমর্থকদের মুখে প্রায়শই এমনটা শোনা যায়। প্রসঙ্গ যাই হোক না কেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চোখ বুজে ভরসা করেন অনেকেই। কিন্তু কোনও পাকিস্তানী নাগরিক কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ভরসা করতে পারেন? অবশ্যই পারেন। অন্তত প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির মন্তব্যে এমনটাই ধরা পড়েছে। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
খেলার মাঠে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ মানেই সমর্থকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। অথচ রাজনৈতিক সমীকরণের জেরে সেই উত্তেজনা ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এশিয়া কাপেও ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের মাঠে খেলতে যাবেন না, এমনটা ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে সাহায্য চেয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি।
আরও শুনুন: ভারতের জাতীয় পতাকায় সইয়ের আবদার আফ্রিদির কাছে, কী প্রতিক্রিয়া পাক ক্রিকেটারের?
খেলার মাঠে বুক চিতিয়ে পাকিস্তানের হয়ে লড়াই করেছেন শাহিদ আফ্রিদি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন এই প্রাক্তন খেলোয়াড়। আর সেই আশঙ্কা থেকেই, দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সুস্থ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই দাবি, পাকিস্তানের কোনও প্রশাসনিক কর্তার কাছে নয় বরং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেই রেখেছেন তিনি। তাঁর অনুরোধ, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলা চালু করার ব্যবস্থা করুন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও নিজের বক্তব্যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-কে যথেষ্ট ক্ষমতাবান বলেই উল্লেখ করেছেন আফ্রিদি। তাঁর মতে, যার ক্ষমতা রয়েছে তার কিছু দায়িত্বও থাকা উচিত। কথার মধ্যেই তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, বিসিসিআই যেন শত্রুর সংখ্যা না বাড়িয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন। আর এহেন মন্তব্য যে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গিত করে তা বুঝতে বাকী নেই কারও।
আরও শুনুন: ভারতসেরা মোহনবাগান, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে সবুজ-মেরুন ঝড়ের সামনে আত্মসমর্পণ বেঙ্গালুরুর
আসলে নিরাপত্তার কথা ভেবেই ভারতীয় খেলোয়াড়দের পাকিস্তানে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বোর্ড। এ প্রসঙ্গে, আফ্রিদির দাবি, সম্প্রতি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক দল পাকিস্তানে এসে সিরিজ় খেলেছে। তাই ভারতীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না বলেই মনে করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভারত থেকে বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি পেয়েছেন তাঁরা। তাই প্রাক্তন পাক অলরাউণ্ডার মনে করেন, দুই দেশের সরকার রাজি হলেই অনায়াসে সিরিজ খেলা সম্ভব। অন্যদিকে এখনও তাঁর সঙ্গে বহু ভারতীয় খেলোয়াড়ের সুসম্পর্ক রয়েছে, সেকথাও মনে করিয়েছেন আফ্রিদি। দেখা হলেই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি কিছুদিন আগে সুরেশ রায়না তাঁকে একটা ব্যাট উপহার দিয়েছেন। নিজের বক্তব্যে সে কথাও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। আসলে সমর্থকদের মতো এই দুই দেশের খেলোয়াড়রাও যেন একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে মুখিয়ে থাকেন। সে কথা মনে করেই এমন দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক।