বাবা বাসচালক। অজ পাড়াগাঁ পিংলা থেকে কত দূর টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়াম? উত্তরটা জানেন প্রণতি নায়েক। দীর্ঘ লড়াইয়ের পথ পেরিয়ে বাংলার প্রথম জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বপ্নের উড়ানে পা রেখেছেন তিনি। লিখছেন কৃশানু মজুমদার।
আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছিল অজ পাড়াগাঁয়ের মেয়েটা। দু’চোখে ভরা স্বপ্ন চিকচিক করত সেই ছোটবেলা থেকেই। মফস্বলে যে শৈশব ডাংগুলি, ডুব সাঁতার আর ডানপিঠে হয়ে ওঠার ট্রেডমার্ক, সেই বয়সেই একবগ্গা জেদের সওয়ারি হয়েছিল সে। সন্ধে নামলেই সেখানকার বাড়িতে বাড়িতে পিদিমের আলো জ্বলে ওঠে। সেই পিংলা থেকে মায়াবি টোকিওর দূরত্ব কত? গুগল হয়তো জবাব দিয়ে দেবে কয়েক হাজার মাইল। তবে যে জবাব পাওয়া যাবে না তা হল, কতটা স্বপ্নে হাঁটলে তবে নিয়নের স্রোতে ভাসা যায়!
মূল গল্পে ফেরা যাক! পেশায় বাসচালক শ্রীমন্ত নায়েক। স্টিয়ারিংয়ে হাত রেখে প্রায়ই তাঁকে যেতে হত দূরদূরান্তে। তাই মাসির বাড়ি পিংলায় রেখে যেতেন তিন মেয়েকে। মাটির বাড়িতে অভাব, অনটন এবং দারিদ্র লেগেই ছিল। এর মধ্যেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখত মেজো মেয়ে। তখনও কি সেই মেয়ে প্রণতি জানতেন, একদিন অলিম্পিকে বাংলার, দেশের মুখ উজ্জ্বল করার গুরুদায়িত্ব চেপে বসবে তাঁর নাতিদীর্ঘ কাঁধে। সেই স্বপ্নের খোঁজেই টোকিওয় পৌঁছে গিয়েছেন পিংলার ২৬ বছরের প্রণতি নায়েক।
আরও শুনুন: Tokyo Olympics: নিজেই পদক পরবেন বিজয়ীরা, ব্যতিক্রমী অলিম্পিকের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব
চার বছর আগের রিও অলিম্পিকে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন দীপা কর্মকার। এবার গোটা দেশের চোখ প্রণতির দিকে। বাংলার প্রথম জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বপ্নের উড়ানে তিনি। চার বছর আগে পদকের খুব কাছে এসেও তা অধরা থেকে গিয়েছিল আগরতলার মেয়ে দীপার। ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার দীপার পরামর্শ নিয়েই সূর্যোদয়ের দেশে প্রণতি। দেশের জিমন্যাস্টিকসে কি সূর্যোদয় হবে? তার উত্তর দেবে সময়।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।