২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু সেখানেও ভারত-পাক দ্বন্দ্বের ছাপ। পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবেই রাজনীতির সঙ্গে খেলাকে মিশিয়ে দিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। এবার মার্কিন দেশেও সে প্রসঙ্গ উসকে দিলেন পাক সাংবাদিক।
ভারত-পাক দ্বন্দ্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে জটিলতা। খেলার ময়দান থেকে ক্রমশ রাজনৈতিক দিকে মোড় নিচ্ছে ট্রফি জট। আর সেই ইস্যু নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে মেলানো কি উচিত, প্রশ্ন তুললেন পাক সাংবাদিক।
কী ঘটেছে ঠিক?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটস-এর প্রাত্যহিক সাংবাদিক বৈঠকে কথা বলছিলেন প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন বেদান্ত প্যাটেল। সেখানেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ইভেন্ট বলে উল্লেখ করে এক পাক সাংবাদিক সাম্প্রতিক জটের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভারত সরকারে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করেছে। ২০০৮ সালে শেষবার পাকিস্তানে খেলতে এসেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর থেকে রাজনীতির গেরোয় কখনোই আর পাক সফর হয়নি। খেলার সঙ্গে এভাবে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলা কি উচিত কাজ, প্রশ্ন তোলেন ওই সাংবাদিক। যদিও এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি প্যাটেল। বিতর্ক এড়িয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এটি ভারত-পাক সম্পর্কের বিষয়, ফলে এ নিয়ে তারাই কেবল কথা বলতে পারে। তবে খেলা যে নিশ্চিতভাবেই সমন্বয় সাধন করতে পারে, সে কথা বলেছেন প্যাটেল।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু সে দেশের মাটিতে ভারত আদৌ খেলতে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। নানা টালবাহানার পর শেষমেশ রোহিত ব্রিগেডের পাকভূমে যাওয়া নাকচ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই আবার শোনা গিয়েছে পাক সরকারের তর্জন, যে, দেশের বাইরে যাবে না কোনও ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুরের যে আয়োজন করেছিল পিসিবি, তাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে জটিলতা মোড় নিয়েছে রাজনীতির দিকেই। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিতর্ক নিয়ে কোথাও হালে পানি পায়নি পাকিস্তান। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ হোক বা ইসলামিক কো-অপারেশনের সংগঠন, কোথাও কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কলকে পায়নি। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে তারা। পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবেই রাজনীতির সঙ্গে খেলাকে মিশিয়ে দিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার পাক মহল থেকে পালটা নিশানা ভারতের দিকেই। এবার যুক্তরাষ্ট্রেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যু টেনে সেই বিতর্ক জাগিয়ে দিলেন পাক সাংবাদিক।