বয়স মাত্র ১৮, কনিষ্ঠতম হিসেবে দাবায় বিশ্বসেরা হয়েছেন ভারতের ডি গুকেশ। উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ, প্রতিবেশীরাও পাঠাচ্ছেন শুভেচ্ছাবার্তা। এই আবহে পাকিস্তানের এক ঘোষক গুকেশকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বেমালুম ভুলেছেন ভারতের নাম! ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
৭ বছর আগেই কনিষ্ঠতম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলেন। নিজের বলা সেই কথা রেখেছেন দাবাড়ু ডি গুকেশ। তাঁকে আর স্রেফ দাবাড়ু বলা যায় না, ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার এই মুহূর্তে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাঁর সাফল্যে আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া! বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে গুকেশকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই। তবে এই আবহেও উঠে এল ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। অবশ্য, তার জন্য পাকিস্তানের এক ঘোষককেই দায়ী করতে হয়।
আরও শুনুন:
রাজা তেমন নড়াচড়া করে না কেন? দাবার চাল ঘিরে নয়া প্রশ্নে মশগুল নেটিজেনরা
ঠিক কী ঘটেছে?
ঘটনা গুকেশের বিশ্বজয়ের ঠিক পরে পরেই। দাবার সঙ্গে যুক্ত বা এই খেলা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন এমন সকলেরই নজর ছিল গুকেশের বোর্ডের দিকে। সত্যি সত্যিই কি ইতিহাস গড়তে পারবেন ভারতীয় দাবাড়ু? ছিল প্রশ্ন, ছিল আশঙ্কাও! সবকিছুকে ছাপিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন গুকেশ। ১৪তম গেমে কিস্তিমাত করেছেন, নিজের জাত চিনিয়েছেন গুকেশ। আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কেঁদে ফেলেছেন। সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সত্যি সত্যি স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় বন্দি করতে পারার যে আনন্দ, তা গুকেশের চোখ দিয়ে দেখছিলেন অনেকেই। শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে উঠছিল নেটদুনিয়া। গুকেশের ছবি, ওই মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার হচ্ছিল লাগাতার। এই দলেই ছিলেন পাকিস্তানের ফারিদ খান। সে দেশের এই স্বঘোষিত ক্রিড়া বিশেষজ্ঞ নিজেকে ভারত অনুরাগী হিসেবেই দাবি করেন। পাকিস্তানে তার চেয়ে জনপ্রিয় স্পোর্টস কনটেন্ট ক্রিয়েটার নেই বলেও দাবি করেন ফারিদ। স্বাভাবিক ভাবেই গুকেশের জয় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। তবে সেই পোস্টে কোথাও ভারতের নাম উল্লেখ করেননি। বরং গুকেশের জয়কে ‘দক্ষিন এশিয়ার গর্বের বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। এখানেই শেষ নয়, এই লেখার সঙ্গে তিনি জুড়েছেন পাকিস্তানের পতাকাও। পাশে অবশ্য ভারতের পতাকাও রেখেছেন, তবে কোথাও বলেননি গুকেশ ভারতীয় এই কথা।
আরও শুনুন:
নেশা ছাড়ানোর ওষুধ! খেলার কাছে হার মানল মাদকের আকর্ষণ, এই গ্রামে সবাই ‘দাবাড়ু’
এই পোস্ট দেখেই চটে লাল নেটদুনিয়া। অনেকেই ধরে নিয়েছেন, এমনটা খানিক ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন ফারিদ খান। ভারতের নামে বিশ্বের দরবারে প্রশংসা করতে চাননি তিনি। তাই এভাবেই ঘুরিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বলতে যে আরও অনেক দেশকেই বোঝায়, সেই প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিতে ভোলেননি নেটিজেনরা। কেউ কেউ পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলেও কটাক্ষ করেছেন। যে ইভেন্টে গুকেশ জিতেছেন সেখানে ভারত ছাড়া আর কোনও দক্ষিন এশিয়ার দেশ ছিল না, এমনটাও দাবি করেছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ফারিদ খান যে খুব একটা ঠিক কাজ করেননি তা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এ দেশের জনতা।