বক্ষমাঝে রাখা আছে মোবাইল। আঁটসাঁট পোশাকে গলা ফাটাচ্ছেন পছন্দের দলের জন্য। ২০১০ বিশ্বকাপের গ্যালারি মজেছিল এমনই এক সুন্দরীকে দেখে। জাতীয় দল জিতলে প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে ঘোরার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। তারপর? আসুন শুনে নিই সেই ঝড়-তোলা মডেলের গল্প।
তাঁর দল জিতলে নগ্ন হয়ে প্রকাশ্যে আসবেন। রাখঢাক না করে ভরা বিশ্বকাপে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্যারাগুয়ের এক সুন্দরী মডেল। তিনি লারিসা রিকল্মে। ২০১০-এর বিশ্বকাপ মজেছিল তাঁর লাস্যে। প্রায় সব ম্যাচেই খোলামেলা পোশাকে গ্যালারিতে ঝলমল করতেন তিনি। খেলার প্রশ্নে যিনি যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, দল-মত ভুলে লারিসার সৌন্দর্যের সমর্থক ছিলেন প্রায় প্রত্যেকেই। বিশেষ একটা স্টাইলেও লারিসা করেছিলেন বাজিমাত! খোলামেলা পোশাকে উণ্মুক্ত বক্ষমাঝে রাখতেন নিজের মোবাইল। স্বাভাবিক ভাবেই, সে সময় এই স্টাইল বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। তবে এবারের বিশ্বকাপে নেই তাঁর প্রিয় দল প্যারাগুয়ে। তাই কাতার বিশ্বকাপে তাঁর হট ফেবারিট ব্রাজিল। ইতিমধ্যেই ব্রাজিলের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেছেন সুন্দরী মডেল।
আরও শুনুন: সঙ্গিনীর সঙ্গে সঙ্গমের উত্তেজনায় মৃত্যু বৃদ্ধের, দেহ লোপাটে সহায়তা খোদ মহিলার স্বামীর
ঘটনার ঘনঘটায় প্রত্যেকটি বিশ্বকাপ অনন্য। কখনও শক্তিশালী দলের অপ্রত্যাশিত পরাজয়। আবার কখনও দল জেতার খুশিতে অভিনব উদযাপন। বিশ্বকাপ পেরিয়ে গেলেও এই ধরনের বিভিন্ন ঘটনা মনে থেকে যায় ফুটবলপ্রেমীদের। সেভাবেই এখনও অনেকের মনে থেকে গিয়েছেন ২০১০ বিশ্বকাপের এই সুন্দরী ফ্যান। খেলার বাইরে, বলতে গেলে, সেই বিশ্বকাপে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি-ই। আবার তাঁর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল কিংবদন্তি মারাদোনার নামও। সেবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ঘোষনা করেছিলেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলে নগ্ন হয়ে প্রকাশ্যে আসবেন তিনি। কম যান লরিসাও! মারাদোনাকে পালটা দিয়ে তিনিও করলেন নতুন ঘোষণা। বলেছিলেন, প্যারাগুয়ে জিতলে তিনিও নগ্ন হয়ে প্রকাশ্যে আসবেন। এমন ঘোষণার পর যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। নগ্ন হওয়ার ক্ষেত্রে লারিসার শর্ত ছিল, তিনি বডি পেইন্ট করিয়ে তবেই প্রকাশ্যে আসবেন। যদিও তেমন কিছু করার সুযোগ তিনি শেষ পর্যন্ত পাননি। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপের ময়দান থেকে ছিটকে গিয়েছিল প্যারাগুয়ে। আর এবারের বিশ্বকাপে থাকতেই পারেনি প্যারাগুয়ে। তাই লারিসার ভরসা এবার তিতের দল। দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে এবছর ফের বিশ্বকাপ নিয়েই ঘরে ফিরবেন নেমাররা, এমনই আশায় বুক বেঁধেছেন তিনিও।