বিশ্বকাপে খেলছেন। অথচ অফিসে ছুটি নেননি। খেলার মাঝেই ল্যাপটপে কাজ সারতে হচ্ছে। তবে স্রেফ এই কারণে নয়। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্সেই সবার নজর কেড়েছেন সৌরভ নেত্রভালকর। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা সকলেরই জানা! ওয়ার্ক ফ্রম ফিল্ড শুনেছেন? ফিল্ড মানে এক্ষেত্রে খেলার মাঠ। সেখান থেকে আদৌ কাজ করা সম্ভব? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে এমনটাই করতে হচ্ছে আমেরিকার সৌরভ নেত্রাভালকরকে। অবশ্য একেবারে মাঠে বসে অফিস সামলাতে হচ্ছে না। খেলা বা অনুশীলন শেষ হলেই অফিসের কাজ নিয়ে বসছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই খেলোয়াড়।
আরও শুনুন: একের পুণ্যে অন্যের সর্বনাশ! তীর্থযাত্রীদের বইতে গিয়েই চারধামে প্রাণ হারায় অবোলা পশুরা
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুরুর দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে সে দেশেই। সেখানকার জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৌরভ। চলতি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। রাতারাতি তাঁর নাম ছড়িয়েছে সর্বত্র। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের অন্যান্য ম্যাচ গুলোতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সৌরভের। সবমিলিয়ে নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। বিরাট-রোহিতের উইকেট নিয়েও ভারতীয়দের ভালোবাসা পাচ্ছেন সৌরভ। অবশ্য ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগও রয়েছে। এখানেই জন্ম। পরিবার পরিজনও ভারতীয়। একসময় মুম্বইয়ের হয়ে চুটিয়ে রঞ্জী খেলতেন সৌরভ। তবে ক্রিকেট ছেড়ে বছর দশেক আগে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন পড়াশোনার তাগিদে। সেখানেই চাকরি পান। তারপর আর দেশে ফেরা হয়নি। বর্তমানে পাকাপাকি ভাবেই মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা সৌরভ। সেই কারণেই সে দেশের জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়েছেন। এবং এই সুযোগ যে নিজের যোগ্যতা দিয়েই অর্জন করেছেন সৌরভ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে তাঁর বোলিং-এর প্রশংসা করছেন অনেকেই। তবে স্রেফ বোলিং নয়, কাজের প্রতি নিষ্ঠা কাকে বলে তাও বুঝিয়ে দেন সৌরভ।
আরও শুনুন: ভক্তের আস্ফালনে ভোট যায়, রানও! রাজনৈতিক দল বুঝল, বিরাট বুঝবেন?
অফিস সামলে অন্য কিছু করতে হিমসিম খান অনেকেই। সেখানে সৌরভ কিনা জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলছেন! একদিনের জন্যও ছুটি নেননি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র হওয়ার সুবাদে যেখান থেকে খুশি কাজ করতে পারেন সৌরভ। অন্যান্য অনেক সংস্থার মতো তাঁর অফিসও সে সুযোগ দিয়েছে। তাতেই একইসঙ্গে কাজ ও খেলা সামলাচ্ছেন সৌরভ। যদিও খেলা চলাকালীন কোনওভাবেই কাজ করতে পারেন না। এমনকি অনুশীলন থামিয়েও মাঠের মধ্যে ল্যাপটপ নিয়ে বসার সুযোগ নেই। কিন্তু একবার খেলা বা অনুশীলন শেষ হলেই কাজের দুনিয়ায় ঢুকে পড়েন সৌরভ। যাবতীয় ক্লান্তি কাটিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দুই দিক সামলান মার্কিন খেলোয়াড়।