আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ধোনিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন অরিজিৎ সিং। কিন্তু টিভির পর্দায় সে ছবি কোথায়? ক্যামেরার ফ্রেম জুড়ে তো কেবল রশ্মিকা মন্দানা আর তামান্না ভাটিয়া। পুরুষের মতোই, আইপিএল-এর ক্যামেরার পাখির চোখও কেবল মেয়েদের দিকেই। কিন্তু এই প্রবণতার বিরুদ্ধে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেয়েরাই। কী বললেন তাঁরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আইপিএল-এর তাবড় তাবড় তারকাদের পাশাপাশি নজর কেড়েছেন তিনিও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টেবিলে নিলামের সময়ই তাঁর দিকে চোখ পড়েছিল সকলের। দলের ম্যাচের সময়ও গ্যালারিতে তাঁকে নিয়মিত দেখা যায়, আর বারবার সেদিকেই লেন্স তাক করে কোনও না কোনও ক্যামেরা। কিন্তু ক্যামেরার এহেন কাণ্ড নিয়েই এবার রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করলেন কাব্য মরান। সান নেটওয়ার্কের মালিক কলানিধি মরানের মেয়ে এই তরুণী। লাইমলাইটের আলোয় থাকতেই তিনি অভ্যস্ত। কিন্তু সম্প্রতি আইপিএল-এর মাঠে ক্যামেরার বাড়াবাড়ির দরুন তাঁর যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেল, তার জেরেই প্রশ্ন উঠেছে ক্যামেরাম্যানদের আচরণ নিয়েও।
আরও শুনুন: নামে নয়, প্রণামেই বড় হয় মানুষ… আপনি আচরি ধর্ম শেখালেন অরিজিৎ
চলতি আইপিএল-এর এক ম্যাচে দর্শকের আসনে বসে ছিলেন সান নেটওয়ার্কের মালকিন কাব্য। সেখানেই তাঁকে ফোকাস করে ক্যামেরা। সাধারণভাবে যেমন ক্রমাগত দর্শক আসনের উপর দিয়ে ক্যামেরা ঘুরে যেতে থাকে, সেভাবে নয়, বরং একটানা অনেকক্ষণ এই তরুণীকেই নজরবন্দি করে রাখে ক্যামেরার লেন্স। শেষমেশ তিতিবিরক্ত হয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে তাকে সরে যেতে ইঙ্গিত করেন কাব্য। দুটি শব্দেই নিজের বিরক্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: Audio Blog: সব বিভাজন মুছে দেয় খেলার মাঠ, সেখানেও কেন ছড়াচ্ছে বিদ্বেষ-বিষ?
এমনিতে খেলার সময় মাঠের পাশাপাশি দর্শক আসনের দিকেও ক্যামেরা ঘুরে চলে। কারণ আইপিএল-এর ম্যাচে মাঠের মতোই স্ট্র্যান্ডও থাকে তারকাখচিত। শাহরুখ খান থেকে জুহি চাওলা বা প্রীতি জিন্টাদের দেখার জন্যও মুখিয়ে থাকেন দর্শকেরা। আবার ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য সাধারণ দর্শকদের উন্মাদনারও কমতি নেই। তাই ক্যামেরাম্যানদের নির্ধারিত কাজের মধ্যেই পড়ে দর্শকদের দিকে ক্যামেরা ঘোরানো। কিন্তু মাঠের বদলে স্ট্র্যান্ডের দিকে কতখানি নজর রাখবে ক্যামেরা, তার কোনও স্পষ্ট গণ্ডি নেই। আর সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই। কাব্য যে ঘটনা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটছে না। সুন্দরী তরুণীদের দিকে বারেবারেই যে ক্যামেরার মুখ ঘুরে যায়, তা বলাই বাহুল্য। আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনাকে নিরীহ মনে হলেও, এর পিছনে আসলে দৃষ্টি দিয়ে নারীর সৌন্দর্য লেহন করে চলার মানসিকতাই বর্তমান। অর্থাৎ রাস্তাঘাটে যেভাবে কোনও পুরুষের ‘স্টক করা’-য় বিব্রত হন মহিলারা, তেমনই ক্যামেরার এহেন একটানা নজরদারিতেও অস্বস্তিতে পড়তেই পারেন কোনও মহিলা। কাব্য-র প্রতিক্রিয়া আসলে এইসব প্রশ্নেরই মুখ খুলে দিল।