সম্ভবত এটাই শেষ। দেশের জার্সি গায়ে আর মাঠে নামতে দেখা যাবে না এইসব ক্রিকেটারদের। চলতি বিশ্বকাপেই তাঁদের শেষ বিশ্বকাপ। তালিকায় কোন কোন তারকা খেলোয়াড় রয়েছেন? আসুন শুনে নিই।
ক্রিকেট হোক বা ফুটবল, যে কোনও খালোয়াড় দেশের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন দেখেন। আর সেই জার্সি গায়ে নিজেকে প্রমাণ করার সবথেকে বড় মঞ্চ বিশ্বকাপ। রোহিত,উইলিয়ামসন কিংবা ওয়ার্নার প্রত্যকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। একবার নয় একাধিক বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু এই সুযোগ সম্ভবত তাঁরা আর পাবেন না। চলতি বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন এইসব তারকা খেলোয়াড়রা।
আরও শুনুন: বিরাটের কালো রিস্টব্যান্ড, রোহিতের বাঁ পা এগিয়ে মাঠে ঢোকা… ম্যাচ জিততে আর কী করেন তারকারা?
তালিকায় সবার প্রথমেই রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি খেলোয়াড় ডেভিড ওয়ার্নার। চলতি বিশ্বকাপেও প্রথম থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ওয়ার্নার। ২০১১ থেকে পরপর বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে এই তারকা ক্রিকেটারকে। দেশের জন্য ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জিতেওছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ বিশ্বকাপের পরই অবসর নিতে পারেন ওয়ার্নার। অন্তত বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তাঁকে আর দেখা যাবে না। এরপর বলতে হয়, নিউজিল্যান্ডের বর্তমান ক্যাপ্টেন কেন উইলিইয়ামসন। চলতি বিশ্বকাপে সেমিতেই শেষ হয়েছে তাঁর দলের দৌড়। একটুর হাতছাড়া হয়েছে পরপর দুই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। মনে করা হচ্ছে চলতি বিশ্বকাপ তাঁরও শেষ বিশ্বকাপ। কারণটা অবশ্যই বয়স। চলতি বছরেই ৩৩-র গন্ডি টপকেছেন কেন। তাই পরের বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিটনেস তাঁর আর থাকবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এরপর বলতে হয় কুইন্টন ডি কক এর কথা। একবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আফসোস নিয়েই হয়তো ঘরে ফিরতে হবে সাউথ আফ্রিকার কিংবদন্তীকে। শুধু একদিনের ক্রিকেট নয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচে যে কোনও ফরম্যাটেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন কুইন্টন। তবে বয়সের কারণে তাঁকেও সম্ভবত পরের বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না। একইভাবে চলতি বিশ্বকাপই শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসের। তবে এখনই ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণভাবে অবসর নেবেন না এঁদের কেউই। আন্তর্জাতিক না হলেও, আইপিএল-এর মতো ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে এঁদের খেলতে দেখা যেতেই পারে।
আরও শুনুন: শেষ হাসি হাসবে ভারতই? মেগা ফাইনালের আগে দরাজ সার্টিফিকেট অজি তারকার
তালিকায় রয়েছে বাংলা দেশের শাকিব আল হাসানও। চলতি বিশ্বকাপে তাঁর দল তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। গ্রুপ লিগে পর পর হারের জেরে বিদায় নিতে হয়েছে আগেই। তবে এরই মাঝে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস কে টাইম আউট করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শাকিব। যদিও অনেকেই তাঁর এই কাজ সমর্থন জানায়। যদিও আশ্চর্যের বিষয় এই যে, চলতি বিশ্বকাপই সম্ভবত শাকিব ও ম্যাথুস দুজনের শেষ বিশ্বকাপ। এছাড়া, আফগানিস্তানের মহম্মদ নবি, নিউ জিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট এঁরাও সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ খেললেন। তবে যার কথা না বললেই নয়, তিনি ভারতের গর্ব রোহিত শর্মা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দেশকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন শর্মাই। এর আগে বহু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও, বিশ্বকাপ জেতার সৌভাগ্য হয়নি রোহিতের। এবার সেই সম্ভাবনা গড়েছেন তিনি নিজেই। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই ক্রিকেট জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিটিও ঝুলিতে ভরবেন রোহিত। তবে এই বিশ্বকাপই সম্ভবত তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। এই মুহূর্তে রোহিতের বয়স ৩৬। চার বছর পর একইরকম ফিটনেস নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামা তাঁর পক্ষে কতটা সম্ভব হবে সেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তাই শেষ বিশ্বকাপে যেন রোহিতকে খালি হাতে ফিরতে না হয় সেই প্রার্থনাই করছে গোটা দেশের মানুষ।