রাহুর দশা বা রাহুর প্রভাবের কথা আমরা শুনেছি। তা থেকে মুক্তিও পেতে চাই। কিন্তু কী করলে এই প্রভাব কাটবে, তা অনেকেরই অজানা। আসুন শুনে নেওয়া যাক কয়েকটি উপায়।
দানধ্যান যে মহাপুণ্যের কাজ, সে কথা আমরা প্রত্যেকেই জানি। শাস্ত্রে দানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে। দানের সঙ্গে পুণ্য যোগ করে দিয়ে, দানকাজে মানুষকে উৎসাহিতই করা হয়েছে বরাবত। সেই দানধ্যানই মুক্তি দিতে পারে রাহুর প্রভাব থেকে। তবে, সেই দানেরও নির্দিষ্ট রীতি আছে। তা জেনে রাখাও জরুরি। যাঁরা এই নিয়ে চর্চা করেন, তাঁরা বলেন, রাহুর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কয়েকটি জিনিস দান করা উচিত।
আরও শুনুন: ভাঙাচোরা লোহা দিয়েই তৈরি হল ‘রামমন্দির’! হাত লাগালেন মুসলিম কারিগরেরাও
১। প্রতি অমাবস্যায় যে কোনও মন্দিরে নারকেল দান করা উচিত। জলদান এবং চারটি নারকেল দানে রাহু সন্তুষ্ট হয় বলেই মনে করা হয়। তাই রাহুর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে মন্দিরে নারকেল দানেরই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২। দরিদ্রদের পোশাক দান করলেও এই প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে। সেক্ষেত্রে কালো এবং নীল রঙের পোশাক দান করার কথা বলা হয়।
৩। রবিবার করে শস্য এবং তামা বা তামাজাতীয় জিনিস দান করা বিধেয়।
৪। নদীতে চিনি বা মিষ্টান্ন জাতীয় জিনিস উৎসর্গ করা উচিত।
৫। দৃষ্টিহীনদের সাহায্য করা, তাঁদের খাওয়ানোর মাধ্যমেও রাহুর প্রভাব কাটানো যেতে পারে।
৬। এ ছাড়া পশুপাখিকে খাওয়ানোর মাধ্যমেও ভালো শক্তিকে আহ্বান করা যেতে পারে, যাতে সমস্ত অশুভ কেটে যায়।
অর্থাৎ, সামাজিক মঙ্গলের জন্য কাজ করলেই সন্তুষ্ট হন রাহু। তাতেই কেটে যেতে পারে রাহুর প্রভাব। ফিরে আসতে পারে ভালো দিন।