চেষ্টা করেও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে না। রোজগার হলেও খরচ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। সেইসঙ্গে শরীরেও সমস্যা লেগেই আছে। কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না এর কারণ কী হতে পারে? শাস্ত্রমতে এর নেপথ্যে থাকতে পারে ‘কু-নজর’। কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন এমন পরিস্থিতিতে? আসুন শুনে নিই।
শাস্ত্রে বলে, কর্মই জীবন। ফলের কথা না ভেবে সৎকর্ম করে যাওয়াই জীবনের সার। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে কোথায়? সকলেই চান সবসময় জীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকুক। তার জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করতেও আপত্তি নেই। এবার সেই পরিশ্রমের ফল যদি না পাওয়া যায়, তাহলে তো সমস্যা হবেই। অনেকে এই পরিস্থিতির জেরে হতাশায় ভোগেন। পরিশ্রম করেও কেন সঠিক ফল মিলছে না, এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে বেড়ান তাঁরা।
আরও শুনুন: এইসব দেবতার মূর্তি রেখেছেন ঠাকুরঘরে? হতে পারে মারাত্মক বিপদ
শাস্ত্রমতে এর নেপথ্যে থাকতে পারে ‘কু-নজর’। পৌরাণিক কাহিনিতেও এই নজর বিষয়টির উল্লেখ মেলে। এক্ষেত্রে গ্রহরাজ শনির দৃষ্টি বা নজরের কথা সবার আগে বলতে হয়। যদিও সেই দৃষ্টিকে সবক্ষেত্রে খারাপ বলা যায় না। কিন্তু পুরাণের একাধিক গল্পে শনিদেবের দৃষ্টির ফলে হওয়া মারাত্মক বিপদের উল্লেখ মেলে। এমনকি পার্বতী পুত্র গণেশের মুণ্ডচ্ছেদের নেপথ্যেও নাকি গ্রহরাজের দৃষ্টিই দায়ি ছিল। এমন কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে। তবে বাস্তবে এই নজর যে কোনও ব্যক্তির হতে পারে। সঠিক বৈজ্ঞানিক কারণ না থাকায় অনেকেই একে কু-সংস্কার হিসেবে মনে করেন। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। তাই কু-নজর যে উন্নতিতে বাধা হতে পারে এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করেন।
আরও শুনুন: বাড়ির শান্তি বজায় রাখতে কোনদিন কোন দেবতার পুজো করবেন?
এবার প্রশ্ন হল সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?
জ্যোতিষমতে খারাপ নজর থেকে মুক্তি লাভের একাধিক নিয়ম রয়েছে। তবে সবথেকে উপকার মেলে নির্দিষ্ট কিছু দেবতার আরাধনা করলে। কেউ যদি ভক্তিভরে হনুমানের পুজো করেন তাহলে যে কোনও কু-নজর থেকে মুক্তিলাভ সম্ভব। সেইসঙ্গে দক্ষিণাকালির পুজো করলেও বিশেষ ফল মেলে। এছাড়া কিছু নিয়ম পালন করা যেতে পারে। জ্যোতিষমতে নজর কাটানোর ক্ষেত্রে সবথেকে উপযোগী জিরে। বিশেষ নিয়ম মেনে জিরে ব্যবহার করলে অবশ্যই ফল মেলে। সেইসঙ্গে কাজে লাগে নুন। তবে নজর কাটানোর জন্য আরও একটি উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। তা হল কর্পূর। যে কোনও পুজোয় এই অপাদান আবশ্যক। কেউ যদি নিয়মিত বাড়িতে বা অফিসে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে বিশেষ ফল মেলে। এর প্রভাবে মনও প্রসন্ন ঠাকে। কাজের জন্য নতুন উদ্যম পাওয়া যায়। তবে সবক্ষেত্রেই নিজের প্রতি আস্থা আবশ্যক। সেইসঙ্গে ভগবানের প্রটি বিশ্বাস থাকাও জরুরি। তাহলেই জীবনের যেকোনও লড়াইয়ে হাসিমুখে জয় সম্ভব।