ঈশ্বরের কাছে আমরা কী না চাই? অর্থ, ধন সম্পত্তি। বলি, হে ঠাকুর আমাকে এই দাও, সেই দাও। অমুক বিপদ থেকে আমাকে উদ্ধার করো। আর এইসব ছোটো ছোটো চাওয়ার মধ্যে দিয়েই আমাদের ঈশ্বরলাভের পথ ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যায়। শোনাচ্ছেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
এই সংসার মোহময়। ছোট ছোট মায়া মোহ আমাদের ঘিরে থাকে বলে, আমাদের ঈশ্বরলাভের পথেও যেন ক্রমশ কাঁটা পড়তে থাকে। অথচ আমরা সচরাচর তা দেখতে পাই না। মনে হয়, এই তো দেবতার পুজা অর্চনা করছি। এই তো বেশ ঈশ্বরে মন আছে। ঈশ্বর আমাদের ছোট ছোট চাওয়া পূর্ণও করছেন বেশ। কিন্তু আসলে এতে কী হল? হল যে, ঈশ্বরলাভ থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গেলাম। আর আমাদের পথে বাধা হয়ে এসে দাঁড়াল এই সংসারের হাজারও দাবি-দাওয়া।
আরও শুনুন: Spiritual: দেহের মৃত্যু হলে আত্মাও কি বিনষ্ট হয়?
দেবতার পূজা তাই করতে হয় ছোট ছোট ফললাভের আশা না করেই। ঐহিক ফলাফলের কথা না ভেবে, আমাদের মুক্তির জন্য শরণাপন্ন হতে হয় স্বয়ং ঈশ্বরেরই। দয়াময়ী মজুমদার এই ব্যাপারে আমাদের চমৎকার এক গল্প শুনিয়েছেন। সেটা শুনে নেওয়া যাক।
আরও শুনুন: Spiritual: এ জগতে প্রকৃত গুরু আসলে কে?
একবার এক কাঠুরে জঙ্গলে গাছে কাঠ কাটতে। অনেক খাটাখাটনি করে সে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তখন একটা গাছের তলায় ঘর্মাক্ত কলেবরে শুয়ে পড়ল কাঠুরে, আর মনে মনে ভাবতে থাকল, বড্ড খিদে পেয়েছে। এখন যদি কেউ একথালা খাবার নিয়ে এসে সামনে দিত, তবে কী ভালোই না হত! অমনি সেই কাঠুরের সামনে একথালা খাবার চলে এল! আশ্চর্য ব্যাপার! এমন চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবকিছু পাওয়া যায় বুজি! কাঠুরে ভারি অবাক হল। এদিকে তার খিদেও পেয়েছিল খুব। তাড়তাড়ি সে সব খাবার খেয়ে ফেলল।
এবার খিদে মিটতেই তার চোখ জুড়িয়ে এল ঘুমে। গাছের তলায় সে শুয়ে পড়ল আর ভাবল, ইস, এখন যদি একজন যুবতী নারী এসে পাখার বাতাস করত, তবে কী সুখই না হত! আবার যে কে সেই। আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। চাওয়া মাত্রই কাঠুরের সামনে চলে এলেন এক নারী। আর তাঁকে পাখা দিয়ে বতাস করতে লাগলেন।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।