যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের উদার অমৃতকথা আমাদের পৌঁছে দেয় জীবনের সার্থকতায়। ঈশ্বরে মন রেখেই সাংসারিক কর্তব্যপালনের যে অমোঘ পথ তিনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই-ই আজও আমাদের পাথেয়। সেই কথাই উঠে এসেছে সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরমপদকমলে’ গ্রন্থে। আসুন শুনে নিই সেই অমৃতপ্রসঙ্গ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: উদ্বোধন কার্যালয়
প্রকৃতির সামনে মানুষ বড় ক্ষুদ্র। তাই তাকে অস্বীকার করা চরম বোকামি। প্রকৃতির অঙ্গুলিহেলনে নিমেষে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানবজাতি। তাই সমর্পনই হোক শেষ কথা। কিন্তু ভক্তি যেন কখনও ভয়ে পরিণত না হয়, এমনটাই বলতেন ঠাকুর।
আরও শুনুন: পরমপদকমলে: পূজার দেখনদারি নয়, মনের ঘরে প্রার্থনায় জোর দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
ঠাকুরের সেই দর্শন খুব প্রাঞ্জল ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘পরমপদকমলে’-তে ‘ভক্তি যেন ভয়ে নাহি হয়, পদানত পৃথিবীর কারো কাছে’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন,
জীবনে জয়ের শেষ নেই। প্রকৃতিকে যতই মনে আনা যাক, প্রকৃতির এক ভূৎকারে বড় শয় মানুহের জীবনদীর নির্বাপিত হতে পারে। যেকোন মুহূর্তে আস্বাদন বন্ধ করে দিতে পারে। ভয় আছে জীবিকা না বরাবর, শেডে হারবার। আর আছে মানুষ। মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু মানুষ। এই যে বাংলাদেশের সমূদ্রকুল ছুঁয়ে এত বড় একটা ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল, মুয়ে গেল শত শত প্রাণের বেঁচে থাকার ক্লিয়, ক্রিষ্ট ইতিহাস। তারপর। হারপরের ইতিয্যস আরো নিদারুন। খোলী প্রকৃতি মানুষের মুখ চেয়ে কাজ করে না। কিন্তু মানুষ। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ জীব। তারা কি করছে। এখনো যাদের পুনর্বাসন হলো না। অনিকেত। অনাহার আর ব্যাধিপীড়িত, তাদের ওপর এপ্রপিয়ে পড়েছে জোতদারের ভাড়াটে গুণ্ডা। একখণ্ড জমির দাম, মানুষের জীবনের চেয়ে দামী।