যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের উদার অমৃতকথা আমাদের পৌঁছে দেয় জীবনের সার্থকতায়। ঈশ্বরে মন রেখেই সাংসারিক কর্তব্যপালনের যে অমোঘ পথ তিনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই-ই আজও আমাদের পাথেয়। সেই কথাই উঠে এসেছে সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরমপদকমলে’ গ্রন্থে। আসুন শুনে নিই সেই অমৃতপ্রসঙ্গ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: উদ্বোধন কার্যালয়
মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন, মানুষের ভিতরেই বসে আছে আরেকটা মানুষ। প্রাচীন হিন্দুদের মধ্যেও এই দুই সত্তার বিশ্বাস ছিল। একেই আত্মার মতবাদ বলছে শাস্ত্র। একের ভিতরের আরেক-এর স্বরূপ নিয়ে বারবার আলোচনা করেছেন শ্রীরামকৃষ্ণও।
আরও শুনুন: পরমপদকমলে: দুঃখই বেঁধে দেয় উত্তরণের পথ, বুঝিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
তাঁর সেই দর্শন খুব প্রাঞ্জল ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘পরমপদকমলে’-তে ‘স্বামীজীর ধর্ম’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন,
কেউ কেউ বলতে পারেন স্বামীজী ঈশ্বর মানতেন না; কিন্তু একথা অনস্বীকার্য ঈশ্বরীভূত পুরুষকে মানতেন। কারণ, তিনি ঠাকুরের সংস্পর্শে এসে জেনেছিলেন ইন্দ্রিয়ের খাঁচাকে চুরমার করে, বিষয়ের জগৎকে পায়ে দলে মনকে উচ্চলোকে পাঠাতে পারলে কোন ভাবময় অবস্থায় লীন হওয়া যায়। স্থূল আনন্দ দেহ দিয়ে ধরতে হয়। ক্ষণস্থায়ী। পরমানন্দ মন দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। আর সেই স্পর্শে জগৎ মিথ্যা হয়ে যায়। সত্য হয়ে ওঠে ব্রহ্ম।