যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের উদার অমৃতকথা আমাদের পৌঁছে দেয় জীবনের সার্থকতায়। ঈশ্বরে মন রেখেই সাংসারিক কর্তব্যপালনের যে অমোঘ পথ তিনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই-ই আজও আমাদের পাথেয়। সেই কথাই উঠে এসেছে সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরমপদকমলে’ গ্রন্থে। আসুন শুনে নিই সেই অমৃতপ্রসঙ্গ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: উদ্বোধন কার্যালয়
আস্তিকের ধর্ম বড় সহজ। মনের যোগ না থকলেও মানুষকে বোঝানো যায় ভক্তির শর্ত। তবে নাস্তিকের ধর্মই হল বড় ধর্ম। নাস্তিকের বিশ্বাসে যে সাংঘাতিক এক জোর রয়েছে, তা হল অবিশ্বাসের জোর।
আরও শুনুন: পরমপদকমলে: মানুষ মনেই বদ্ধ, মুক্তও মনেই, বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
সেই দর্শন খুব প্রাঞ্জল ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘পরমপদকমলে’-তে ‘কৃপা’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন,
নাস্তিক কিন্তু ধরেই নেয় ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আছে সে, আর আছে প্রতিযোগিতার জগৎ। যেটুকু পেতে হবে তা পেতে হবে নিজের ক্ষমতার জোরে। ফলে আস্তিকের চেয়েও তার পুরুষকার অনেক বেশি, আর ঈশ্বর এই পুরুষকারের জাগরণই পছন্দ করেন। কারণ, উপনিষদ্ বললেন : “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ।” নাস্তিক সেই কারণে তার কৃপাকণিকার কণিকাটুকু পেলেই ঋজুবুদ্ধি দিয়ে ভাবতে বসেন এটা কি হলো, কোথা থেকে এল। এ তো আমার প্রাপ্য ছিল না, এ তো আমি চাইনি, তবে কে দিলেন ? নাস্তিকের শেষ পরিণতি আস্তিকে। সে তখন অভিভূত হয়ে আকাশের দিকে মুখ তুলে বলে, তুমি কে তা জানি না, তুমি কোথায় তাও জানি না, কিন্তু বুঝেছি তুমি আছ। তার বিশ্বাস তখন গেয়ে ওঠে— ”যা দিয়েছ তুমি অনেক দিয়েছ অযাচিত তব দান। নিইনি মূল্য বুঝিনি মহিমা তবু পান অফুরান।”
শুনে নিন বাকি অংশ।