সামনেই জন্মাষ্টমী। বহুবছর পর বিশেষ যোগ আসতে চলেছে এবারের নন্দোৎসবে। নিয়ম মেনে পুজো করলেই বদলাবে ভাগ্য। তবে স্রেফ পুজো নয়। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে কয়েকটি জিনিস ঘরে আনলে জীবনে আসতে পারে শুভাশুভ পরিবর্তন। উৎসব উপলক্ষে কোন কোন জিনিস আনবেন ঘরে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জন্মাষ্টমী(Janmashtami) উপলক্ষে কৃষ্ণ আরাধনায় মাতবে গোটা দেশ। মথুরা বৃন্দাবন সহ দেশের একাধিক কৃষ্ণমন্দিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রস্তুতি। পঞ্জিকামতে চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমী পালনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত। যদিও অনেকেই বুধবার মধ্যরাতে কৃষ্ণ আরাধনার ব্যবস্থা করবেন। শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, দুই ক্ষেত্রেই কোনও ভুল নেই।
আরও শুনুন: বিরল যোগে বদলাবে ভাগ্য! জন্মাষ্টমী তিথিতে ঠিক কোন সময় পুজোয় বসবেন?
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি কংসরাজের কারাগারে মাতা দেবকীর কোল আলো করে জন্ম নেন শিশু শ্রীকৃষ্ণ। দেবকী ও বসুদেবের অষ্টম গর্ভের সন্তান। জন্মলগ্ন থেকেই যিনি সম্মুখীন হয়েছেন নানান ভয়ানক বিপদের। তবে কংসের হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করার জন্য জন্মের পরই শিশু কৃষ্ণকে নিয়ে বৃন্দাবনের গোকুল গ্রামে চলে যান বসুদেব। সবার অগোচরেই নন্দরাজের ঘরে কৃষ্ণকে রেখে এসেছিলেন বসুদেব। তাই গোকুলবাসীর কাছে কৃষ্ণ ছিলেন যশোদা ও নন্দের পুত্র। ছোটবেলায় তাঁকে সবাই আদর করে গোপাল বলে ডাকত। তাই ঘরে ঘরে এই ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল পূজার আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, এইদিন ভক্তিভরে গোপাল পুজোর আয়োজন করলে বিশেষ ফল মেলে। অনেকেই বাড়ির গোপালকে সন্তানের মতো স্নেহ করেন। আদর করে রোজ দু-বেলা সেবা করেন গোপাল বিগ্রহের। আর জন্মাষ্টমীর দিন সেই উৎসব হয় দেখার মতো। এইদিন গোপালকে বিশেষভাবে স্নান করানোর রেওয়াজ রয়েছে। তবে এদিন গোপালের উদ্দেশে বিশেষ কয়েকটি জিনিস ঘরে আনলে হতে পারে বিশেষ লাভ। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বাঁশি। কৃষ্ণের অতি প্রিয় মোহন বাঁশি। বাড়ির গোপাল বিগ্রহের সামনেও যদি জন্মাষ্টমীর(Janmashtami) দিন ছোট আকারের বাঁশি রাখা যায়, তাহলে হতে পারে বিশেষ লাভ। অনেকে সোনা বা রুপোর তৈরি বাঁশিও গোপালের সামনে রাখেন। এরপর বলতে হয় শঙ্খের কথা। কৃষ্ণপুজো হলেও জন্মাষ্টমীর দিন এই জিনিস ঘরে আনলে তুষ্ট হবেন মা লক্ষ্মীও। তাই অনেকেই জন্মাষ্টমীর(Janmashtami) দিন ঘরে শঙ্খ আনার নিদেন দেন।
আরও শুনুন: নিয়ম মেনে পুজো করলেই কি ঈশ্বরের প্রিয় পাত্র হওয়া যায়? ব্যাখ্যা রয়েছে গীতাতেই
তালিকায় রয়েছে ময়ূরের পালক। এই বিশেষ জিনিসটি জন্মাষ্টমীর দিন ঘরে সাজাতে অবশ্যই ব্যবহার করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে রাখা যেতে পারে গোমাতার মূর্তি। গ্রামাঞ্চলে এইদিন গোরু বাছুরকে সেবার ব্যবস্থা করেন অনেকেই। শহরে তা সম্ভব নয়। তা এইদিন কেউ গোমাতার মূর্তি কিনে আনতে পারেন। বাড়ির গোপালকে সাজানোর সময় সেই মূর্তি পাশে রাখলে বিশেষ তুষ্ট হন কৃষ্ণ। তালিকায় সবশেষে রয়েছে বৈজয়ন্তী মালা। এই বিশেষ বস্তুটি কানাইয়ের বড় প্রিয়। তাই জন্মাষ্টমীর দিন বৈজয়ন্তী মালা ঘরে আনা উচিত। এই সামান্য আয়োজনের খরচও এমন কিছু নয়। তাই জন্মাষ্টমীর(Janmashtami) পুজো করে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ ধন্য হতে চাইলে অবশ্যই ঘরে আনুন এই কয়েকটি জিনিস।