মহাকুম্ভে শাহী স্নান! পুণ্যের টানে অনেকেই ছুটছেন প্রয়াগে। তবে যে কোনওদিন মেলায় গেলেও বিশেষ স্নানের সুযোগ মিলবে মাত্র কয়েকদিন। তার মধ্যে দুটি দিন ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। বাকী আছে কোন কোন দিন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কুম্ভমেলা। দেশে তো বটেই, গোটা বিশ্বে যা নিয়ে চর্চা চলছে ইদানীং। অবশ্য এমনটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। ১৪৪ বছর পর বিশেষ মুহূর্ত উপস্থিত। তাই এবারের কুম্ভে একবার হলেও পা রাখতে চাইছেন অনেকে। প্রায় ২ মাস ধরে চলতে থাকা কুম্ভে যে কোনওদিন যাওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে শাহী স্নানের দিনগুলিতেই।
আরও শুনুন:
বিশেষ মুহূর্তে স্নান করবেন কোটি কোটি ভক্ত! কীসের টানে কুম্ভ মেলায় ছুটে যান সকলে?
কুম্ভকে তীর্থের রাজা আখ্যা দিয়েছিলেন সম্রাট আকবর। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথাতেও কুম্ভ নিয়ে আবেগ ধরা পড়েছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারীতে সুষ্ঠভাবেই চলছে প্রয়াগ সঙ্গমের এই মিলনমেলা। তবে কুম্ভের আসল আকর্ষণ ‘শাহী স্নান’। দলে দলে সন্ন্যাসীরা সেই স্নানের টানেই ছুটে এসেছেন কুম্ভমেলায়। ঠান্ডা যতই পড়ুক, মাহেন্দ্রক্ষণে গঙ্গায় ডুব দিতেই হবে। কুম্ভের প্রথম দুই শাহী স্নানের দিন ইতিমধ্যেই পেরিয়েছে। প্রথম দুটি ছিল জানুয়ারির ১৩ ও ১৪ তারিখ। পৌষ সংক্রান্তির এই সময়টা গোটা দেশেই অনেকেই গঙ্গাস্নান করেছেন। তবে যারা কুম্ভমেলায় অর্থাৎ প্রয়াগে স্নান করেছে তাঁদের বিশেষ পুণ্য অর্জন হয়েছে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। যদিও শাহী স্নানের দিন এখনও ফুরোয়নি। পরেরটি জানুয়ারির শেষে ২৯ তারিখ। এইদিন মৌনি অমাবস্যা। শাস্ত্রমতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শাহী স্নানের জন্যও আদর্শ।
আরও শুনুন:
কুম্ভমেলায় ওয়াইফাই চাই, যোগীর কাছে আবদার সেই আইআইটি বাবার
তবে জানুয়ারি মাসে আর স্নানের দিন নেই। বাকী তিনটি দিনই ফেব্রুয়ারিতে। প্রথমেই ৩ ফেব্রুয়ারি। এইদিন ক্যালেন্ডারে বসন্ত পঞ্চমী। অর্থাৎ সরস্বতী পুজো। একদিকে সকলে যেমন বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন, অন্যদিকে চলবে শাহী স্নান। শিক্ষার্থীদের জন্য এইদিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেউ যদি ভক্তিভরে কুম্ভে গিয়ে স্নান করেন, তাহলে লাভ বই ক্ষতি হবে না। তারপরের দিনটিও শুভ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ। পঞ্জিকামতে এই দিনটি রথ সপ্তমী হিসেবে পরিচিত। এইদিনেও স্নান করা যায়। তবে গোটা মেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাঘী পূর্ণিমার দিনটি। ক্যালেন্ডারের হিসাবে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ। আরও একটা দিন রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাসের ২৬ তারিখ। এই দিনটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এইদিনে শিবরাত্রি। মেলাজুড়ে শিবসাধকের কমতি নেই। কাজেই এইদিনে স্নান করবেন মেলার প্রায় সমস্ত সাধুই। দেশের সমস্ত শিবমন্দিরে এইদিনে বিশেষ পুজোর আয়োজন হবে। পাশাপাশি কুম্ভমেলাতেও স্নানের পর চলবে মহাদেবের আরাধনা।