বাড়ির মধ্যেই পুজোর ঘর। সাধ্যমতো সকলেই এই ঘরটিকে বা পুজোর জায়গাকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন। সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখেন। তবে, ভুলবশত এমন অনেক কিছুই রেখে দেন, যা বাস্তু মতে না রাখাই উচিত। আসুন শুনে নেওয়া যাক পুজোর ঘরে কী কী না রাখাই ভালো।
প্রতিদিন পুজোআচ্চা করলে মন শান্ত হয়। ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্তি। অনেকে একে পজিটিভ এনার্জিও বলে থাকেন। আর এর দরুন যে অমঙ্গল দূর হয়, সে তো জানা কথাই। তাই সচরাচর আমরা পুজোর ঘরটিকে যত্ন করে পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন রাখারই চেষ্টা করি। তবে, তারই মধ্যে ভুলচুক হয়েই যায়। বাস্তু মতে, সাধারণত পুজোর ঘরে বা বাড়ির পুজোর জায়গায় এমন অনেক কিছুই রাখা থাকে, যা নেগেটিভ এনার্জিকে টেনে আনে।
যেমন, অনেকেই বাড়ির পূর্বসূরিদের ছবি পুজোর ঘরে রাখেন। দেবতাদের পাশাপাশি তাঁদেরও স্মরণ করেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোয় কোনও অসুবিধা নেই। তবে, পুজোর ঘরে এই ধরনের ছবি না রাখাই শ্রেয়। কেননা দেবতাদের মূর্তি বা ছবির সঙ্গে একই সারিতে বা একই সঙ্গে পূর্বসূরিদের ছবি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আর তাই বাস্তু মতে ঠাকুরঘর থেকে ছবিগুলো সরিয়ে অন্যত্র রাখতে পারলে ভালো হয়। সেটাও কোনও একটা ভালো জায়গায়, এবং যদি দক্ষিণমুখো করে রাখা যায়, তাহলে বরং মঙ্গলই হবে।
-: আরও শুনুন :-
মহেশ্বরের উগ্র রূপ, মাঘের অষ্টমীতে কালভৈরব আরাধনায় মেলে বিশেষ ফল
আবার ঠাকুরঘরে অনেকে পুরনো ধর্মগ্রন্থ রেখে দেন। তাও কিন্তু রাখা উচিত নয়। অনেকে আবার পুরনো শুকনো ফুল, কিংবা বাসি ফুল ঠাকুরঘরেই এক কোণে জমা করে রাখেন। এই ধরনের জিনিসপত্রও আসলে নেগেটিভ এনার্জি ডেকে আনে। অতএব ঠাকুরঘরে তা না-রাখাই বলে। তা ছাড়া ঠাকুরঘরে পুজোর যাবতীয় সামগ্রী অনেকে রাখেন। ঝোঁকের বশে একাধিক শাঁখও রেখে দেন। বাস্তু মতে, পুজোর জায়গায় একটি মাত্র শাঁখই রাখা উচিত। একাধিক শাঁখ রাখলে তা বাস্তুদোষে রূপ নেয়। কোনও মূর্তি যদি ভেঙে যায় বা কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা ঠাকুরঘর থেকে অতি অবশ্যই সরিয়ে ফেলা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে, বাড়ির পুজোর জায়গায় যেন শনিদেবের মূর্তি না থাকে। শিবলিঙ্গ যদি থাকে তবে বুড়ো আঙুল সমান হওয়াই ভালো, বেশি উচ্চতার শিবলিঙ্গ বাড়ির মন্দিরে থাকে না। এ ছাড়া মূর্তি বা ছবি যেন এলোমেলো না হয়ে থাকে। তা যেন নির্দিষ্ট সারিতে সাজানো থাকে। ঠাকুরঘর এইভাবে নিয়ম মেনে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখলে আখেরে পরিবারেরই মঙ্গল।